মান খারাপ ও তুলনামুলক দাম বেশী হওয়ায় দেশে ভারতীয় পেয়াজের চাহীদা কমায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি কমেছে। এদিকে হিলিবাজারে দেশীয় পেয়াজের চাহীদা বাড়ায় সেই তুলনায় সরবরাহ কমার কারনে দুদিনের ব্যাবধানে পেয়াজের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩টাকা করে বেড়েছে। দাম আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সবদোকানেই পর্যাপ্ত পরিমানে দেশীয় পেয়াজের সরবরাহ রয়েছে। তবে দাম কিছুটা বাড়তি দুদিন আগেও দেশীয় পেয়াজ যেখানে ২২টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল এখন তা বেড়ে ২৪ থেকে ২৫টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে ভারতীয় পেয়াজের তেমন সরবরাহ নেই বললেই চলে।দুএক দোকানে ভারতীয় পেয়াজ রয়েছে। ছোট আকারের পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২টাকা কেজি দরে।আর বড় আকারের পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০টাকা কেজি দরে। গতকয়েকদিন ধরে একইদামে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেয়াজ।
হিলি বাজারে পেয়াজ কিনতে আসা কামরুল হাসান বলেন,দুদিনের ব্যবধানে পেয়াজের দাম কেজি প্রতি ২/৩টাকা করে বেড়েছে। আগে পেয়াজের দাম কমার কারনে আমাদের মতো মানুষদের পেয়াজ কিনতে কিছুটা সুবিধা হয়েছিল।দাম কম ও স্বাদ ভালো হওয়ার কারনে আমরা ভারতীয় পেয়াজ কেনা বাদ দিয়ে দেশীয় পেয়াজ ক্রয় করছিলাম।কিন্তু এখন আবার হঠাৎ করেই কোন কারন ছাড়ায় পেয়াজের দাম বাড়ছে।বাজারে পর্যাপ্ত পেয়াজের সরবরাহ রয়েছে তারপরেও পেয়াজের দাম বাড়ছে এতে করে আমাদের মতো নিন্ম আয়ের মানুষদের জন্য সমস্যা হয়ে দাড়াচ্ছে।দাম বাড়া ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া আর কিছুই নয় আমরা চাই পেয়াজের দাম যেন কমে সেই ব্যবস্থা করা হোক।
হিলি বাজারের পেয়াজ বিক্রেতা ফিরোজ হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশীয় নতুন পেয়াজ উঠার ফলে বাজারে দেশীয় পেয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার কারনে পেয়াজের দাম কমে এসেছিল। একইভাবে বন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।তবে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেয়াজের মান কিছুটা খারাপ হওয়ায় ও তুলনামুলক দাম বেশী হওয়ার কারনে ক্রেতারা ভারতীয় পেয়াজ কিনছেনা।অপরদিকে দেশীয় পেয়াজের মান ভালো হওয়ায় ও দাম কমের কারনে সবাই দেশীয় পেয়াজ ক্রয়ের দিকে ঝুকেছেন। এতে করে বাজারে দেশীয় পেয়াজের চাহীদা বাড়লেও সেই তুলনায় সরবরাহ না থাকায় দাম কিছুটা বাড়তি হয়েছে। আগে যেভাবে ক্ষেত থেকে পেয়াজ উঠতো এখন তার গতি কমেছে যার কারনে মোকামে পেয়াজের সরবরাহ কম এছাড়া পুর্বে পেয়াজ কাচা ছিল এখন যতদিন যাবে ততপেয়াজ শুকনা হবে এতে করে দাম আরো বাড়তে পারে।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, বাজারে দেশীয় পেয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ ও দাম কমের কারনে দেশের বিভিন্ন মোকামে ভারতীয় পেয়াজের চাহীদা কমেছে। যার কারনে বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি কমিয়েছেন আমদানিকারকরা। তবে সীমিত পরিসর বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে পেয়াজ আমদানি করে লোকশান গুনতে হচ্ছে, তবে দেশে পেয়াজের দাম বাড়লে ভারতীয় পেয়াজের চাহীদা যেমন বাড়বে তেমনি বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি বাড়বে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকলেও আমদানি পুর্বের তুলনায় কমে এসেছে। আগে যেখানে বন্দর দিয়ে ১৫ থেকে ২০ট্রাক করে পেয়াজ আমদানি হতো এখন সেখানে ২/৩ ট্রাক করে পেয়াজ আমদানি হচ্ছে।
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com