বিশ্বকাপ শুরু হতে আর বাকি মাত্র ১১ দিন। কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবে লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর। অথচ মাত্র ১২দিন আগেও একটা অনিশ্চয়তায় সময় কাটিয়েছে ইকুয়েডরিয়ানরা। কারণ, তাদেরকে বিশ্বকাপ থেকে বাদ দেয়ার আবেদন জানিয়েলো চিলি এবং পেরু।
মঙ্গলবার এই আবেদনেরই নিষ্পত্তি করেছে খেলাধুলা সম্পর্কিত সর্বোচ্চ আদালত দ্য কোর্ট অব আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্টস (সিএএস)। পেরু এবং চিলির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে চূড়ান্তভাবে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, বিশ্বকাপে খেলতে কোনো বাধা নেই ইকুয়েডরের। এই রায়ের পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ইকুয়েডরের ফুটবলেপ্রেমীরা।
ইকুয়েডরের বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করা হলেও একটি শাস্তি তাদেরকে দিয়েছে খেলাধুলার আদালত। ভুয়া কাগজপত্র সরবরাহের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপে লাতিন আমেরিকা বাছাইপর্বে ইকুয়েডর যে পয়েন্ট অর্জন করবে, সেখান থেকে ৩ পয়েন্ট কাটা হবে।
অর্থ্যাৎ অভিযোগ কিছুটা প্রমাণিত। তবে, এই বিশ্বকাপ যেহেতু একেবারে দোরগোড়ায়, আর মাত্র ১১-১২দিন বাকি, সে কারণে ইকুয়েডরকে এই বিশ্বকাপ থেকে বাদ না দিয়ে তাদেরকে খেলার সুযোগ দেয়া হচ্ছে এবং পরের বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব থেকে ৩টি পয়েন্ট কর্তন করে দেয়া হলো।
এই রায়ে পেরু এবং চিলির যে শেষ একটি আশা ছিল কাতার বিশ্বকাপে খেলার, সেটাও শেষ হয়ে গেলো। পেরু এবং চিলি আবেদন জানিয়েছে, বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ইকুয়েডর একজন অবৈধ ফুটবলার খেলিয়েছে। ডিফেন্ডার বায়রন ক্যাস্তিলো তাদের নিজেদের দেশের নাগরিক না হওয়া সত্ত্বেও তাকে খেলিয়েছে ইকুয়েডর।
সিএএস রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ফিফা নিয়মের মধ্য থেকেই বায়রন ক্যাস্তিলোকে খেলিয়েছে ইকুয়েডর। যে কারণে তার বাছাই পর্বে খেলাটা অবৈধ নয়। এমনকি কাতার বিশ্বকাপেও তিনি দেশটির হয়ে খেলতে পারবেন।’
তবে সিএএস এটাও জানিয়েছেন, ক্যাস্তিলো জন্মগ্রহণ করেছেন কলম্বিয়ায়। তবে ইকুয়েডর তাকে খেলালেও তার পাসপোর্ট তৈরি করার সময় তথ্য গোপন করেছিল। ভুয়া কাগজ দেয়া এবং তথ্য গোপনের অপরাধেই মূলত পরের বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব থেকে ৩ পয়েন্ট কাটা হয়েছে ইকুয়েডরের।
শুধু পয়েন্ট কাটাই নয়, সিএএস ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশনকে ১ লাখ সুইস ফ্রাঁ (১ লাখ ডলার) জরিমানাও করেছে।