চুরির দায়ে হেডমাস্টার সায়েদুল সাসপেন্ড, বিভাগীয় মামলা।
পাবনার প্রতিনিধি:-

পাবনা সুজানগর ৪৭ নং-হাটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সয়েদুল ইসলাম ওরফে মন্টু মাস্টারের বিরুদ্ধে স্কুলের পুরাতন ভবনের টিন, জানালা, লোহার রড দরজা, ও ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক সহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে বিক্রয় করার অপরাধে সাসপেন্ড ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।
জানা যায় গত ( ১ মার্চ-২০২৫ ) শনিবার সকাল ৮টার দিকে কয়েকটি ভ্যানযোগে মালামাল বিনা অনুমতিতে অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে গোপনে সু- কৌশলে ছুটির দিনে চুরি করে বিক্রি করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন, পরে স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানালে ,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মজিদ কিছু আংশিক চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করেন।
২ মার্চ-২০২৫ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মজিদ স্বাক্ষরিত ৩৮০১.৭৬৮৩.০০০.৩০.০০১.২৫-২৪২ নং স্মারকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন, তদন্ত কমিটিতে উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে আহবায়ক করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন, তদন্ত কমিটির অন্যরা হলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিশিত কুমার বিশ্বাস, শওকত আলী ফকির, ও এবিএম রফিকুল হাসান খান।
৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি তিন কার্য দিবসের মধ্যে ঘটনা স্থানে গিয়ে তদন্তর কাজ সম্পন্ন করেন এবং তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেন, ঘটনা সত্যতা পাওয়া এবং হেডমাস্টারের স্বীকারোক্তি উঠে আসে তদন্ত রিপোর্টে, রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ দূরত্ব জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল কবীর মুঠোফোনে বলেন চুরির দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সায়েদুল ইসলামকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি সাসপেন্সনে থাকবেন।
এদিকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান প্রধান শিক্ষক সয়েদুল ইসলাম ওরফে মন্টু মাস্টার ইতিপূর্বেও একাধিক বার সরকারের দেওয়া অর্থ আত্মসাৎ সহ নানান অনিয়মের দায়ে শাস্তি মূলক বদলি হয়েছে।