নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শক্তিমত্তা প্রদর্শন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দু'গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদেরকে প্রকাশ্যে পাইপগান, পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা যায়। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল থেকেই দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম বাজার ও আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়৷ এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে বর্তমান এমপি মুজিবুল হক গ্রুপের বাতিসা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী ফখরুল আলম ফরহাদ, পৌর আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির পাটোয়ারী ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান গ্রুপের পৌর আ'লীগ নেতা মনসুর আলম আজাদ, পৌর যুবলীগ নেতা ফরাস উদ্দীন রিপন এবং আরিফুর রহমান মামুন এর পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকী আহতদের এখনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘটনার শুরু থেকেই চৌদ্দগ্রাম বাজার সহ ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চৌদ্দগ্রাম সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম ও চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমার নেতৃত্বে কমপক্ষে ২০০ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা আ'লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান মঙ্গলবার রোড শো করার অনুমতি চায় পুলিশ প্রশাসনের কাছে। এদিকে বর্তমান এমপি মুজিবুল হক মুজিব এর অনুসারীরা উপজেলা আ'লীগের পক্ষ থেকে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষনা করে। এতে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা মহাসড়কে অবস্থান নিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় মহাসড়কে যান চলাচল কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চৌদ্দগ্রাম বাজারের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিনের ব্যস্ত বাজারটি আজ অনেকটাই ফাঁকা। সাধারণ মানুষের আনাগোনা নেই বললেই চলে। এদিকে মুজিবুল হক মুজিব এমপি গ্রুপের নেতাকর্মীদের একাংশ উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ বাবুলের নেতৃত্বে মিয়াবাজারস্থ তাজমহল হোটেলের সামনে, পৌর মেয়র জিএম মীর হোসেন মীরুর নেতৃত্বে চৌদ্দগ্রাম বাজারে অবস্থান করছে। অপরদিকে সাবেক মেয়র মিজানের অনুসারীরা দোয়েল চত্বর এলাকায় অবস্থান করছে। আবারো সংঘর্ষের আশংকায় বাজারে এখনো পুলিশ মোতায়েন রয়েছে