কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রাম থেকে তানিয়া আক্তার ( ৩০) নামে পুলিশ এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে। তিনি ওই গ্রামের অটোচালক মোঃ আজাদ হোসেনের স্ত্রী। তানিয়া ৩ সন্তানের জননী এবং একই ইউনিয়নের বৈলপুর গ্রামের মৃত শফিকুর রহমান ও মায়া বেগম দম্পত্তির মেয়ে। এই ঘটনার পর থেকে গৃহবধুর স্বামীসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। তথ্যটি বৃহস্পতিবার দুপুরে নিশ্চিত করেছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা।
গৃহবধু তানিয়ার মা মায়া বেগম বলেন, আমার মেয়েকে তার স্বামী আজাদ হোসেন যৌতুকের জন্য প্রায় সময় শারীরিক নির্যাতন করত। কোরবানের ঈদের আগে আজাদ ২ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে যৌতুক দিতে রাজি হই কিন্ত টাকা জোগাড় করতে দেরি হওয়াতে আজাদ গত দুইদিন আগে আমাকে মোবাইল হুমকি দিয়ে বলে আগামী দুইদিনের মধ্যে টাকা না দিলে পরে তার রেজাল পাবেন। আজ বৃস্পতিবার সকালে তানিয়ার বাড়ির পাশের আমার নিকট আত্নীয় পেয়ারা বেগমের মাধ্যমে জানতে পারি তানিয়া মারা গেছে। আমি ছুটে এসে দেখি তানিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। মায়া বেগম আরো বলেন, যৌতুক দিতে দেরি হওয়ায় আজাদ আমার মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
তানিয়ার পাশের বাড়ির নিকট আত্নীয় পেয়ারা বেগম বলেন, আমি সকালে ঘুম থেকে তানিয়ার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তার বাবার বাড়িতে সংবাদ দিয়েছি। ঘটনার পর থেকে তানিয়ার স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতাল করি। গৃহবধু তানিয়ার হাত পা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানাবে।তিনি আরো বলেন গৃহবধুর পরিবারের লোকজন লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এফআর/অননিউজ