হৃদরোগে টানা ১১ দিন হাসপাতালে কাটিয়ে বাসায় ফেরার ছয়দিনের মাথায় আবারও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। গভীর রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সোমবার (৮ জুলাই) ভোর সোয়া চারটার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয় তার ব্যক্তিগত গাড়ি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২২ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার পর সিসিইউতে ভর্তি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২৪ জুন তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন সে সময় জানান, খালেদা জিয়ার হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে ব্লক ছিল, একটা স্টেন্টও (রিং) লাগানো ছিল। সবকিছু পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ড তার হার্টে পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানোর পর অবস্থার উন্নতি হলে ৯দিন পর ২ জুলাই বিকেলে বেগম খালেদা জিয়াকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
প্রসঙ্গত, ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস এবং হৃদরোগ ছাড়াও ফুসফুস, লিভার ও কিডনি সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিল রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে। ইদানিং তার শারীরিক অবস্থার ঘন ঘন পরিবর্তন ঘটছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাই কোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য। ওই বছরের ২৫ মার্চ মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে নিজ বাড়িতে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
সূত্রঃ বিডি24লাইভ
একে/অননিউজ24