ছাত্র জনতার জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ঝিনাইদহে রেমিটেন্স যোদ্ধা দিবস পালিত

এম এ কবীর,ঝিনাইদহ

ছাত্র জনতার জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থান স্মরণে দেশে প্রথমবারের মত রেমিটেন্স যোদ্ধা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন,জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের আয়োজনে আলোচনা সভা ও রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান গতকাল সকালে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায়,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)বকুল চন্দ্র কবিরাজ, সহকারী কমিশনার মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসার আব্দুর রউফ, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক সামিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ রুস্তম আলী,ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটিরি সভাপতি এম এ কবীর, প্রেসক্লাব সভাপতি আসিফ কাজল, এন এম শাহজালাল,এনামুল কবীর মুকুল,রবিউল ইসলাম প্রমূখ।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন জুলাই যোদ্ধারা জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান,তারা আমাদের জন্য এনে দিয়েছে সম্ভাবনার দ্বার,নতুন সকাল, এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবে আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধারা বিদেশের মাটিতে থেকেও সম্মুখ সমরে অংশ গ্রহন করে। তারা প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করেছে, জেল খেটেছে,চাকরী হারিয়েছে,অনেকে শুণ্য হাতে দেশে ফিরেছে, চুড়ান্ত পর্যায়ে তারা রেমিটেন্স শাটডাউন ঘোষণা করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা স্বৈরশাসকের ভীত কাঁপিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন যারা রেমিটেন্স যোদ্ধা সরকার তাদেরকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। বিমান বন্দরে তাদেরকে আলাদা প্রবেশপথের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন দেশের উন্নয়নে তাদের অবদান কোন ভাবেই অস্বীকার করার উপাই নেই। তিনি প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর আহব্বান জানান। তিনি বলেন যারা বিদেশে যেতে চান তাদেরকে অবশ্যই স্কীল হতে হবে,কমপক্ষে তিনটি ভাষা শিখে যেতে হবে, প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং বৈধভাবে কিংবা সরকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে যেতে হবে। কোন সমস্যায় পড়লে আগে স্থানীয় প্রশাসন কে জানাতে হবে। কেউ যেন প্রতারণা করতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। রেমিটেন্স যোদ্ধারা যেহেতু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে সে কারণে তাদের পরিবারের পাশে সরকার সব সময় আছে এবং থাকবে।
আলোচনা সভা শেষে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। উল্লেখ্য দেশে এবারই প্রথমবারের মত রেমিটেন্স যোদ্ধা দিবস পালিত হচ্ছে।

ই/অননিউজ ২৪

আরো দেখুনঃ