জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর রায় ছাড়া মানবিক করিডোর নয়। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে বাংলাদেশে জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সবাইকে ঐক্য ধরে রাখতে হবে- পঞ্চগড়ে সারজিস আলম

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর রায় ছাড়া মানবিক করিডোর নয়। এটা কোন ছোট বিষয় না। পূর্বে করিডোরের নামে বিদেশী এজেন্ট এসেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দেশে ঢুকেছে। নানা কর্মকান্ড ঘটিয়েছে। এই সুযোগ আমরা আমাদের বাংলাদেশে হতে দিব না। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এই দেশের ইন্টিরিম সরকার একায় নিতে পারে না। একই সাথে সামগ্রিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করে সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন, জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আপোষহীন থাকে বলেও জানা এনসিপির এই নেতা।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেলে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর বার আউলিয়ার মাজারের বার্ষিক ওরশ শরীফ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তার পাশেই পাকিস্তান। এই দুইটি দেশে এরকম যুদ্ধের যদি একটা পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে যায় সবচেয়ে বেশি তৃতীয় দেশ হিসেবে যে দেশ ভুক্তভোগী হবে সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ। আমরা আমাদের জায়গা থেকে কখনো প্রত্যাশা করিনা যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দুটি দেশে যুদ্ধ লাগুক। জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। তবে যেভাবে পুশ ইন করা হচ্ছে এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। বর্তমান সরকার কঠোর প্রদক্ষেপ না নিলে এর দায়ভার তাদের নিতে হবে। এবং সীমান্তে পুশ-ইনের দায় সরকার এড়াতে পারে না বলেও জানান তিনি।

আরও বলেন, আব্দুল হামিদকে পালাতে দেয়া হয়েছে। এর ব্যর্থতা বর্তমান সরকারের। সারজিস বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক বড় হাতিয়ার হচ্ছে মিথ্যা মামলা। আর এই মিথ্যে মামলা দিয়ে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মতো বর্তমানে কিছু রাজনৈতিক নেতা এসব মামলা করছেন। কিছু পুলিশও তাদের সহযোগিতা করছে। আমরা চাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের নামে মামলা হবে, বিচার হবে- দৃশ্যমান শাস্তি হবে। কিন্তু আমরা কখনো চাই না, একজন নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হোক। যে কোন রাজনৈতিক দলের কোন নেতাকর্মী অন্যায় বা অপকর্ম না করে, একই সাথে দলীয় প্রভাব না খাটায় তাহলে তার নামে মিথ্যা মামলা কেন হবে। যদি হয়, আর যারা করছে তার সাথে আওয়ামী লীগের পার্থক্য কোথায়। আওয়ামী লীগ একই কাজ বিএনপি, জামায়াত সহ অন্যদের সাথে করেছিল। কিন্তু আজকে তো আওয়ামী লীগ করছে না- অন্য দলের কেও করছে। আর যারা করছে তারা আওয়ামী লীগের মত একই কাজ করছে। একটি চক্র লিষ্ট সাজিয়ে তাদের ফোন দেয়। নাম না দেয়ার কথা বলে টাকা চাচ্ছে। একই সাথে বিভিন্ন অপরাধ মূলক পন্থা অবলম্বন করে যাচ্ছে। আমরা সোজা কথায় বলতে চায় এর দায়ভার অন্তবর্তীকালীন সরকার ও আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নিতে হবে।

মজ/অননিউজ২৪

আরো দেখুনঃ