মুরাদনগর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ আমাকে আপ্রাণ ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসাতে আমি মুগ্ধ। আমি রাজনীতি করি মানুষের সেবক হয়ে, নেতা হতে আসিনি এই ভূমিতে। নির্বাচনে পাশ করার পরে আমি জনপ্রতিনিধি হবো সেবা দিতে চুরি করতে না, তাই নির্বাচনে টাকা খরচ করবো না। জনগণ নিজের বিচার বিশ্লেষণে আমাকে যোগ্য মনে করলে ভোট দিয়ে পাশ করাবেন। পাশ করলে তাদের সুখেদুঃখে পূর্বের ন্যায় পাশে থাকবো, উপজেলাকে গড়ে তুলবো মডেল হিসেবে। গতকাল প্রচার প্রচারণায় এমটাই বলছিলেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আহসানুল আলম সরকার কিশোর।
নির্বাচনী প্রচারণার প্রথমদিনে উপজেলায় ভোটারদের দোরগোড়ায় গিয়ে দোয়া ও ভালোবাসা চাচ্ছেন প্রতিদ্বদ্বী প্রার্থীরা। চেয়ারম্যান প্রার্থী কিশোর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ভোটারদের নিকট তাদের মতামত জানতে ও দোয়া চাইতে দিনব্যাপী করেন জনসংযোগ। চশমা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট ফয়সাল আহমেদ উপজেলার ধামঘর, কৃষ্ণপুর, বিষ্ণুপুর, প্রান্তি চষে বেড়িয়েছেন কর্মীদের নিয়ে। ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম সারওয়ার হাসান বাঙ্গরা বাজারে করছেন জনসভা, ভোটারদের দোয়া চাইতে দিচ্ছেন বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন ও হাবিবুর রহমানের সমর্থকরা রহিমপুর, মুরাদনগর সদরে করেছেন জনসংযোগ। সব মিলিয়ে উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ।
প্রবীণ ভোটার শাহ্ আলম বলেন, অনেক বছর পরে মুরাদনগরে নির্বাচন পরিণত হয়েছে উৎসবের আমেজে। প্রার্থীরা সকলে একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই কোনো সংঘর্ষের ঘটনা হয়নি। নির্বাচনী আচরণবিধি ও আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে প্রার্থীরা মাইকিং সীমাবদ্ধ রেখেছেন সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। শেষ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি বজায় থাকলে নির্বাচন হবে জনগণের কাঙ্খিত ও যোগ্য ব্যক্তিকে পাশ করিয়ে আনতে পারবো।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধির বিষয়ে কমিশন সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সুষ্ঠু ভাবে সকল প্রার্থীরা ভোটারদের নিকট ভোট চাইছেন। জনগণের মাঝেও দেখা যাচ্ছে স্বতস্ফুর্ত আনন্দ। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে তারা বদ্ধপরিকর।