দিন যত যাচ্ছে ততই ঘনিয়ে আসছে ৯ নং কনকাপৈত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আসন্ন ৯নং কনকাপৈত পরিষদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় ও আলাপ-আলোচনায় চলছে।তবে এ ইউপিকে জনপ্রিয়তা রয়েছে গত নির্বাচনের নৌকার মাঝি ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল।এ ইউনিয়নে ৪র্থ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ডিসেম্বর ।
ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী লীগের মূল ধারার রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে দীর্ঘদিন কনকাপৈত ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের পাশে থেকে সেবায় নিয়োজিত আছেন। বর্তমানে তিনি কনকাপৈত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ।ডাকাতি নদী পাড় ঘেঁসা কনকাপৈতে ইউনিয়নটিতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারিং করাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেরও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তার সরব ভূমিকা বিদ্যমান।
এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজার ও চায়ের দোকানে তাকে নিয়ে চলছে সর্বত্র আলোচনা এবং জনসাধারণের মধ্যে তাকে নিয়ে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এলাকার বিভিন্ন শেণি-পেশার মানুষ নিজ থেকেই জাফর ইকবালের পক্ষে প্রচারণাসহ দোয়া চেয়ে জনসাধারণের দ্বারপ্রান্তে যাচ্ছেন।যদি তার বিকল্প কোনো প্রার্থী এখনো মাঠে দেখা যায়নি ।করোনা মহামারির সময়ে দরিদ্র-অসহায় পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তিনি,সরকারি অর্থ সহযোগিতা পাশাপাশি তিনি নিজ উদ্যোগে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
এর মাঝে ইউনিয়নবাসী তাকে মানবিক চেয়ারম্যান হিসাবে উপাধি দিয়েছেন।বিগত নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে বিজয়ী হবেন তিনি। করোনাকালীন সময়ে এ ইউনিয়নের নেক হতদরিদ্রের মাঝে খাদ্য সহায়তা,ঈদ উপলক্ষে গরিব অসহায়দের মাঝে নগদ অর্থ বিতরনসহ ই্উনিয়নের সকলকাজ তিনি নিজে কওে দিতেন সাধারন মানুষকে। নিজ দ্যোগে কর্মহীন অসচ্ছল ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোজখবর রেখেছেন যাদের সংসারে সংকট দেখা দিয়েছিলো তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা। বিশেষ করে এতিম অভিভাবকের ভুমিকা রেখেছেন তিনি।
অসহায় মানুষের পাশে সবসময় ছিলেন বলে জানান স্থানীরা ।তিনি করেছেন মাদক,সন্ত্রাস দখলবাজ,দুর্নীতি সহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে কাজ করেন বলে জানান।তাই কঠিন সময়ে গরীব অসহায় মানুষদের পাশে থাকার কারনেই আজ তিনি এ ইউনিয়নে উন্নয়নের আমজনতার প্রিয়জন গরীবের নেতা হিসেবে উপাধি পেয়েছেন।
তরুণ এই চেয়াম্যান জাফর ইকবাল বলেন, আমি বিগত পঁাচ বছর কনকাপৈত ইউনিয়নকে একটি আধুনিক ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলেছি।এছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে জনকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছি এবং সবসময় যেকোনো অবস্থায় আমার ইউনিয়নবাসীর পাশে আমি আছি। আমার ইউনিয়নে বেকার সমস্যা সমাধান, মাদক সন্ত্রাস দূরীকরণ, বালাবিবাহ বন্ধসহ নানা সামাজিক কাজে করেছি।
তিনি জনবান্ধব স্বচ্ছ দুর্নীতি মুক্ত আধুনিক ও মডেল ইউনিয়ন বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেন।তিনি আরো বলেন ,জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমার অভিভাবক চৌদ্দগ্রামের মাটি মানুষের নেতা,কুমিল্লায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক যদি আমাকে আবার মনোনয়ন দেন,তাহলে আমি কনকাপৈত ইউনিয়নকে কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে অঙ্গিকারাবদ্ধ হবো।
কনকাপৈত ইউনিয়নবাসীর পূর্ণ সমর্থনে আমি এগিয়ে যাচ্ছি। আমার জন্য আপনারা দোয়া করবেন। আমি একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কারিগর প্রত্যয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থণ নিয়ে আবোরো নিবার্চন করছি। এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কাজে সবসময় নিজেকে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত আছি।
কনকাপৈত ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম নামের এক বাসিন্দা জানান, এত কাজ পাগল মানুষ আমরা আর দেখি নাই।সব সময় মানুষের খেঁাজ খবর নেন। পরিষদের কোন কাজে মানুষ হয়রানির শিকার হয়নি।অফিসে,রাস্তায়,দোকানে যেখানেই থাকেন না কেন কোন কাজে গেলে ফিরিয়ে দেননি। কোন কিছুর দস্তখত করতে হলে সাথে সাথে স্বাক্ষর করে দিতেন।এমনকি জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের সময় সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত জনগণের সেবায় নিজেকে উৎস্বর্গ করেছেন।
অনেকেই বলেন,আমরা নিজ চোখে দেখেছি স্বাক্ষর করতে করতে হাত পা ফুলে গিয়েছিল। কখন খাওয়ার সময় কখন নাস্তার সময় তার কোন খেয়াল ছিলনা। বিরতিহীন সর্বদা মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও কখনো কারো কাজে একটু বিরক্তবোধ করেননি।আল্লাহ জাফর ভাইকে যতদিন বঁাচিয়ে রাখে ততদিন তার বিকল্প নেই।শাহ আলম নামে এক ছাত্র নেতা জানান, সর্বস্থরের মানুষের সাথে মেশা তার একটা অন্যরকম গুন।যা অন্য কারো মধ্যে দেখা যায়না। চৌদ্দগ্রামে জাফর ইকবাল মানব সেবার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি ভালো মানুষ।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24