প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত এবং তামাকমুক্ত বাংলাদেশ মঞ্চের আহ্বায়ক সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা প্রয়োজন। শনিবার (১৭ জুন) কমলাপুর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার মিলনায়তনে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের করণীয়’ শীর্ষক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। আর ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। এ ছাড়া তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে দেশে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যান।
সম্মেলনে সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এটা সবাই জানেন যে, তামাকপণ্যের ব্যবহার জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তারপরও আমাদের দেশে তামাকপণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে তামাকপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে রাখতে হবে। তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। তাহলেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন সম্ভব।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, তামাকের ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে শিক্ষকরা মূল ভূমিকা রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল বলেন, দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি যুবসমাজ। অথচ এই যুবসমাজ আজ নানাবিধ নেশায় জড়িয়ে পড়েছে। বিশেষত তামাক সেবনের মাত্রা যুবকদের মাঝে মারাত্মকভাবে বেড়েছে। তরুণ সমাজের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা না গেলে দেশ ভবিষ্যতে ভয়াবহ এক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। তাই দ্রুত বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানকে ধূমপানমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। একইসঙ্গে তারা শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে আন্তরিকভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় তামাকমুক্ত বাংলাদেশ মঞ্চ এ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবাকো ফ্রি কিডস এর অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার (সিটিএফকে) আতাউর রহমান মাসুদ।
এফআর/অননিউজ