জয়পুরহাটের বাড়ির প্রবেশদ্বার ঘেরাও করে জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে |
সুলতান মাহমুদ, জয়পুরহাট প্রতিনিধি ||
জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধলাহার ইউনিয়নের ছোট বালিয়াতৈর (রেন্টির মোড়) এলাকায় একটি বাড়ির প্রবেশদ্বার ঘেরাও করে জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর থানাধীন ছোট বালিয়াতৈর মৌজার জে.এল নং- ০৭, আর এস খতিয়ান নং – ১৩৯,১৪১ এর ১০৬/২১৬ দাগে ১৫ শতক ও ১০৫/২০৬ (ভ্রমাত্মক), সঠিক ২২৬ এ ৪ শতকসহ মোট ১৯ শতক জমি ছোট বালিয়াতৈর (রেন্টির মোড়) এলাকার মোছাঃ সখিনা আক্তার কাগজপত্র মূলে ১৯৯৮ সাল থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত ভোগদখল করে আসছেন।
এমতাবস্থায় হঠাৎই একই এলাকার মোঃ আব্দুস সামাদসহ আরও কয়েকজন মিলে উক্ত তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে তাদের অংশ আছে দাবি করে সখিনা আক্তারের বসতবাড়ি বাশ দিয়ে ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করে রাখে।
ভুক্তভোগী সখিনা আক্তার জানান, এ ব্যাবারে তাদের সাথে জয়পুরহাট সদর নিসিয়র সহকারী জজ আদালতে ১৮০/২২ মোকদ্দমা চলাকালীন অবস্থায় তারা ভাড়াটে লোকজন ও সন্ত্রাসী এনে জোর পূর্বক বাড়ির কয়েক সাইটে ঘেরাও করে নানা প্রকার ভয়ভিতি ও হুমকি প্রদর্শন করছে।
সখিনা আক্তারের স্বামী শরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে তারা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছেন। কারণ তাদের প্রতিপক্ষগণ জায়গা ঘেরাও করেও ক্ষান্ত না হয়ে সেখানে একটি চৌকি ফেলে রাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে পাহাড়া দেয় এবং বিভিন্ন সময় বাহির থেকে বাড়ির দড়জা লাগিয়ে দেয়। পরে আশেপাশের প্রতিবেশীদের ফোন করে দরজা খুলে দেওয়ার অনুরোধ করলে দরজা খুলে দিতে আসলে তাদের সাথেও খারাপ ব্যাবহার করাসহ মোবাইল ফোন কেরে নেওয়া হয়। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
এ ব্যাপারে সখিনা আক্তারের প্রতিপক্ষ মোঃ আব্দুস সামাদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমাদের জমির উপর তারা রাস্তা করে রাখলে হবেনা। তাছাড়া তাদের বাড়ি থেকে বাহিরে বের হওয়ার কয়েকটি দরজা আছে। বাড়ির সাথে লাগানো তাদের মার্কেটের সাথে একটা বড় দরজা আছে যেটা দিয়ে তারা খুব ভালো করে চলাচল করতে পারে। আর জায়গাটা যেহেতু আমাদের তাই ওইটা ঘেরা হয়েছে। তারা আমাদের উপর মিথ্যা দোষারোপ করছে।
উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে ধলাহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উপরোক্ত বিষয়ে যেহেতু আদালতে মামলা চলমান রয়েছে তাই এখানে আমাদের কিছু করার সুযোগ নেই।