জয়পুরহাট সদর উপজেলার কেন্দুল সিদ্দিকিয়া দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সুপার মাসুদ মোস্তফা দেওয়ানের বিরুদ্ধে হারানো পদ পূনরুদ্ধারের অভিযোগ করেন একই মাদ্রসার শিক্ষক-কর্মচারী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে তাদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তারা।
একই মাদ্রসার শিক্ষক-কর্মচারী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদ্রাসাটির শিক্ষক প্রতিনিধি রেজাউল করিম সরকার।
এ সময় অন্যান্যেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সহকারী সুপার আব্দুল ওয়াদুদ, সহকারী মওলুভী আব্দুল আলীম, ছাত্র অভিভাবক আব্দুল আলীম, মাহফুজার রহমান সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, আমাদের মাদ্রাসার সাবেক সুপার মোঃ মাসুদ মোস্তফা দেওয়ান তার দায়িত্ব পালনকালে অর্থ আত্মসাৎ, চাকুরীর শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ নানা অনিয়ম দূর্নীতির কারনে একাধিক বার (১৯৯৯ সালের ১ জুন ও পরবর্তীতে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ২০০১ সালের ১২ এপ্রিল জেল হাজাতে গেলে সাময়িক বরখাস্ত হন। তারপর জেল-হাজতবাস শেষে নিজের অপকর্ম আড়াল করতে অবশেষে ব্যাক্তিগত কারন দেখিয়ে ২০০১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ইস্তফা পত্র প্রদান করলে তা দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে ওই বছর ১৫ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটির সভায় অনুমোদন হলে সুপারের পদ শুন্য হয়ে যায়।
তারপরও তিনি স্ব পদে বহাল হতে প্রথমে জয়পুরহাট সিনিয়ার সহকারী জজ আদালতে মামলা (মামলা নং ১৬/২০০২) করলেও গত তা ২০/১০/২০০২ সালের ২০ অক্টোবর ওই মামলটি খারিজ হয়ে যায়। এরপর সাবেক সুপার মোস্তফা দেওয়ান আবারো চাকুরী ফিরে পেতে নিজে আবেদন করে বারবার তদন্ত চান। এরই ধারাবাহিকতায় তারই আাবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বারবার তদন্ত রিপোর্টেও তার অপকর্মসহ তার পদত্যাগ সঠিকভাবে প্রমানিত হয়।
সর্বশেষ এ বছর গত ১১ সেপ্টেম্বর তিনি ৪০/৫০ জন অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের সাথে নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের কেন্দুল সিদ্দিকিয়া দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রসায় গিয়ে বর্তমান সুপার আয়েজ উদ্দিনসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করানোর জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন এবং সাবেক সুপার মাসুদ মোস্তফা দেওয়ান সুপার পদে বহাল করতে সবাইকে চাপ প্রয়োগ করেন। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক-কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির অনুরোধে সুপার আয়েজ উদ্দিন মহোদয় জয়পুরহাট সদর থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেন বলেও জানান সংবাদ সম্মেলন আয়োজকরা।
মাদ্রাসটির বর্তমান সুপার আয়েজ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করতে উক্ত সাবেক সুপার মোঃ মোস্তফা দেওয়ান জোর পূর্বক স্বপদে বহাল হতে এখনো ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন।
আই/অননিউজ২৪।।