নতুন প্রজন্মকে সুন্দর ও পরিছন্নমূলক পরিবেশ উপহার দিতে প্লাস্টিকের অপব্যবহার রোধ ও পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতার বাণী নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৬৪ জেলার উদ্দেশ্যে সাইকেল যাত্রা শুরু করেছে আব্দুল্লাহ মজনু। ঢাকার স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে জার্নালিজমে শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত ও মর্নিং স্কোয়াড নামে সংগঠনের এই প্রতিনিধি বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটি ও ভোরের সাথীর যৌথ আয়োজনে সার্কিট হাউজ থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে তার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। "জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বৃক্ষরোপনের বিকল্প নেই" এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে, মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ সকল স্থানে প্রচারে কাজ করবে মজনু। যাত্রার শুরুতে শহরের লোকনাথ দীঘির পাড় ভোরের সাথীর সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। এ সময় তিনি প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় সকলের সচেতন করে তুলতে ভোরের সাথীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। পরে তার এই সামাজিক উদ্দেশ্য সফলে বিশেষ দোয়া করা হয়। মতবিনিময়কালে ভোরের সাথীর সক্রিয় প্রবীণ মুরুব্বি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের অধ্যক্ষ এডভোকেট হাবিবুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সচিব মোঃ শামসুদ্দীন, সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন বেলাল, সমাজকর্মী রাশেদ কবীর আকন্দ, মাহমুদুল হাসান, কাজী টুটুলসহ ভোরের সাথীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বরিশাল জেলার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ জানান, আঁধুনিকতার ছোঁয়ায় বৃক্ষনিধন, প্লাস্টিকের অতিরিক্ত ব্যবহারসহ নানা করেণ আমাদের জলবায়ু এখন হুমকীর মুখে। আমাদের পূর্ব প্রজন্ম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর আবহ পেলেও আমরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এখন যে অবস্থা পরবর্তী প্রজন্ম প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ নানা হুমকীর মুখে রয়েছে। তাই পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ বাংলাদেশ গড়ার জন্য এ উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। দেশের সাতটি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়া সংগঠন হলো মর্নিং স্কোয়াড।
প্রাথমিকভাবে ৯০ দিনে সাইকেলে সারাদেশ ঘুরে এ কর্মসূচি পালন করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতি জেলায় মোট ২৫টি করে বৃক্ষরোপণ করা হবে। সংগঠনের টাকায় গাছ কেনাসহ আনুষাঙ্গিক ব্যয় বহন করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এবং শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও নদীমাতৃক জেলা হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকেই আমি আমার প্রচারাভিযানের যাত্রা শুরু করেছি। এখানে প্রচারণা চালাতে এসে বেশ সাড়া পেয়েছি। এ কাজে প্রতি জেলার স্থানীয় সাইক্লিষ্টসহ শুভাকাংখীদের সহায়তা নেওয়া হবে। সফলভাবে প্রথমধাপ শেষ করতে পারলে আগামী ১০ বছর প্রতি জেলায় অন্তত ১০ বার করে যাওয়া হবে।