আবদুস সাত্তার, নড়াইল।।
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর নড়াইল জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়েছেন জান্নাত আরা যুথী। তিনি লোহাগড়া উপজেলার পারমল্লিকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। এর আগে তিনি লোহাগড়া উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন।
জানাগেছে, জান্নাত আরা যুথী ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারী লোহাগড়া উপজেলার ৩৩নং হান্দলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০২২ সালের ৮নভেম্বর একই উপজেলার পারমল্লিকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।
ব্যক্তিগত পারদর্শিতা, পেশাগত দক্ষতা, আইসিটিতে দক্ষতা, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ, শিখন ফলপ্রসূ করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় রেখে তাঁকে শ্রেষ্ঠ বলে নির্বাচন করা হয়।
অত্যান্ত মেধাবী জান্নাত আরা যুথী শিক্ষাজীবনে ভাল ফলাফল করার পাশাপাশি ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ডিপিএড কোর্সে নড়াইল পিটিআইতে প্রথম স্থান অধিকার করে। তাছাড়া ৬মাস মেয়াদী কম্পিউটার সার্টিফিকেট কোর্সেও প্রথম স্থান অধিকার করে যুথী। যুথীর এই সাফলের পিছনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ ও তার স্বামী মোঃ শাহজাহান সরদার উৎসাহ যুগিয়েছে।
জান্নাত আরা যুথীর পৈত্রিক বাড়ী লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামে। পিতা মরহুম আবু জাফর মোল্যা একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। মা সাজেদা খানম ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়ভাই শামীম পাভেজ জনি ব্যবসায়ী ও ছোটভাই নাইম পারভেজ মনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ছোটকাল থেকেই তিনি তার মায়ের আদর্শ নিয়ে বড় হয়েছেন। এখনও মায়ের সেই আদর্শকে ধারণ করে সফলতার ধারায় এগিয়ে চলেছেন।
জান্নাত আরা যুথীল স্বামীর বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ইশানগাতী গ্রামে। স্বামী মোঃ শাহজাহান সরদার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ধর্মীয় শিক্ষক। তিনি কক্সবাজার কর্মরত আছেন। দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে ফাইয়াজ মাহমুদ নূর নড়াইল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেনীতে ও ছোট ছেলে মাহির রায়ান তুর পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর জেলা পর্যায়ে ১৩টি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়। ১১ সদস্য বিশিষ্ট এই বাছাই কমিটির সভাপতি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী ও সদস্য সচিব ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।