জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে নড়াইলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

নড়াইল প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নড়াইলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নড়াইর জেলা শাখার আয়োজনে শহরের পুরাতন বাস টার্মিনালের মুক্তমঞ্চ চত্বর থেকে বিশাল একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নড়াইল চৌরাস্তাসহ গুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একইস্থানে এসে শেষ হয়। মিছিলের পূর্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা জামায়াতের আমির আতাউর রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি জামায়াতে ইসলামীর যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য ও সাবেক নড়াইল জেলা আমীর মাওলানা মির্জা আশেক
এলাহী। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির জাকির হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারী আইয়ুব হোসেন খান, আবুল বাশার, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আলমগীর হোসাইন, হেমায়েতুল হক হিমু, সদর উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমিন,জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ খিয়াম উদ্দিন, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস
এম সালাউদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন,‘আমাদের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম ১৩ বছরেরও অধিক সময় ধরে কারাগারে আটক আছেন। তাকে বারবার রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও দেওয়া হয়নি। ৫আগস্টের পর অনেক মামলায় অনেকেই জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু এটিএম আজহারুল ইসলাম কেনো এখনও মুক্তি পায়নি।
আমরা বিশ্বাস করতে চাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরে যে সরকার গঠিত হয়েছে এই সরকারের আমলে কোন বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় বৈষম্যতো রয়েই গেছে। মিথ্যা মামলার ফাঁসির আসামীকে ইতিমধ্যে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

আমাদের নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে কেন এখনও মুক্তি দেয়া হয় নাই। এই সরকারের আমলে রাজনৈতিক কোন কর্মসূচি দিতে হবে এটা আমরা ভাবতে পারি নাই। জামাত ইসলামের বাধ্য হয়ে আজকে সারা বাংলাদেশে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

অবিলম্বে এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি দিতে হবে।’কর্মসূচিতে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

আরো দেখুনঃ