শেষ মুহূর্তের প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লা-৩(মুরাদনগর) আসনের সকল প্রার্থীরা। ভোট চাইতে সাধারণ ভোটারদের দ্বারেদ্বারে ঘুরে চষে বেড়াচ্ছেন এলাকার দিকবিদিক। সংসদে আসনটিতে ১১ জন প্রার্থী থাকলেও মূল লড়াই হচ্ছে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকারের মাঝে।
ধারণা করা হচ্ছে জেলায় সবচেয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা পূর্ণ নির্বাচন হবে মুরাদনগরের আসনটিতে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ দলীয় নেতাকর্মীরা হুটহাট পাল্টাচ্ছে নিজেদের সমর্থন। গত তিনদিন পূর্বে যারা করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা, এখন তারা নৌকার পালে দিচ্ছে হাওয়া। পক্ষান্তরে, এতদিন যারা ছিলেন নৌকা প্রার্থীর পক্ষে বর্তমানে তারা ছুটছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর জনসমর্থন জোগাতে। ফলে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকার।
বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। ভোটাররা হচ্ছেন দ্বিধাগ্রস্ত, কে কার লোক সেটা বোঝতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ভাসছে ডিগবাজি শব্দের ছড়াছড়িতে। চিত্রনায়ক জায়েদ খানের ডিগবাজির মতো কর্মীসমর্থকদের পক্ষ পরিবর্তনে বিষয়টি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে এলাকাজুড়ে। শেষমুহুর্ত পর্যন্ত এমনধারা বজায় থাকলে ৭তারিখের নির্বাচনে প্রভাব পরতে পারে ভোটের ফলাফলে।
সদরের ভোটার কামরুল বলেন, ডিগবাজি শব্দটি হাস্যকর। তবে এমনটাই ঘটছে বর্তমানে আমাদের উপজেলায়। ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও দীর্ঘদিনের পথচলা যাদের সাথে তাদের কাছেই ফিরছে নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করায় দুইভাগে ভাগ হচ্ছে দলীয় নেতাকর্মীরা, এখানে অবাক হবার কিছুই নেই। সুবিধাবাদী কিছু মহল গুজব ছড়িয়ে ভোট ব্যাংকে প্রভাব বিস্তারে মুখিয়ে আছে।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী কায়কোবাদ এই আসনে দীর্ঘদিন এমপি থাকায় বিএনপির সমর্থক সহ তরুন ভোটাররা গড়ে দিতে পারে ভোটের ব্যবধান। নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘন ছাড়া কোনো সহিংসতা লক্ষ্য করা যায়নি এখনো এই আসনটিতে।
এফআর/অননিউজ