মৌলভীবাজারের জুড়ীতে কলেজ ছাত্র আবু তাহের আহমেদ মামুনকে হত্যার অভিযোগে এবং খুনিকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন মামুনের এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকাল পাঁচটায় উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মুমিত আসুক চত্বরে মানববন্ধন করেন তারা। মামুন জুড়ীর তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
নিহতের চাচা মাওলানা আবুল হোসেন জানান, মামুনের বাড়ী উপজেলার শাহাপুর গ্রামে। গত রোববার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের কচুরগুল গ্রামে মামুনের ফুফাতো বোন ফারজানা আক্তার ফৌজিয়ার সাথে তার স্বামী পিকআপ চালক জুনেদ আহমেদের ঝগড়া হয়েছে, এরকম শুনে বিষয়টি জানতে মামুন তাদের বাড়ীতে যান। সেখানে জুনেদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরে মামুন সেখান থেকে চলে আসেন। পরদিন সোমবার মামুন মোটরসাইকেল নিয়ে কচুরগুলের দিকে যাওয়ার সময় জুনেদ নিজ চালিত পিকআপ দিয়ে মামুনকে জোরে ধাক্কা দেন। স্থানীয়রা আহত মামুনকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ওইদিন মারা যান মামুন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, জুড়ী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি, জুনেদের স্ত্রী ফারজানা আক্তার ফৌজিয়া, নিহত মামুনের মা জীবা বেগম, বড় বোন লিজা আক্তার, শাহাপুর জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আবুল হোসেন, স্থানীয় মুরব্বী হাজী তোতা মিয়া, মিসবাহ উদ্দিন সুমেল, সিতাব মিয়া, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মাওলানা আব্দুর রহমান, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মুজিবুর রহমান সুমন, ফাহিম আহমদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলু মিয়া, তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আদনান আশফাক, মুহিবুর রহমান রুবেল প্রমুখ।
এফআর/অননিউজ