বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত রক্তাক্ত করেছে বিএসএফ। সীমান্তে হিন্দু-মুসলমান নয়, বাংলাদেশি হিসেবেই গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়। ফেলানীর মতো সম্প্রতি কিশোরী স্বর্ণা রানী দাস ও ঠাকুরগাঁওয়ে এক কিশোরকে বিএসএফ নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। ভারত যেন বাংলাদেশিদের তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।
তিনি আজ রোববার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার কালনীগড় গ্রামে সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত কিশোরী স্বর্ণা রানী দাসের স্বজনদের খোঁজখবর নিতে যান। এ সময় কালনীগড় বাজারে 'আমরা বিএনপি পরিবার' নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বক্তব্যের পর উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, নির্বাচন কখন হবে, সে বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের প্রশ্ন করুন। নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের জন্য তিনি সরকারের কাছে আহ্বান জানান।
দুপুর ১২টার দিকে সভা শুরু হয়। মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শরিফুল হক সাজুর সভাপতিত্বে ও বড়লেখা উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদিরের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমদ মিঠু, আমরা বিএনপির উপদেষ্টা আলমগীর কবীর, আহ্বায়ক আতিকুর রহমান প্রমুখ। সভায় জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার বিএনপিসহ এর অঙ্গ এবং সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে রুহুল কবির রিজভী কিশোরী স্বর্ণা রানী দাসের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তাঁদের আর্থিক সহযোগিতা করেন।
স্বর্ণা রানী দাস (১৪) কালনীগড় গ্রামের বাসিন্দা পরেন্দ্র দাস ও সঞ্জিতা রানী দাস দম্পতির মেয়ে। ১ সেপ্টেম্বর সে মায়ের সঙ্গে চোরাইপথে পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া উপজেলার লালারচক সীমান্ত দিয়ে ভারতে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিল। এ সময় বিএসএফ তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে স্বর্ণা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার বুকে গুলি লাগে। সে জুড়ীর নিরোদ বিহারী উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। পরে বিএসএফ তার লাশ নিয়ে যায়। ৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করে।
একে/অননিউজ24