মৌলভীবাজারের জুড়ীতে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের আয়োজনে এবং সোনালী ব্যাংক জুড়ী শাখার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ মোঈদ ফারুক।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং এর সভাপতিত্বে ও সোনালী ব্যাংক জুড়ী শাখার সিনিয়র অফিসার নাসবির ইসলামের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার সোনালী ব্যাংক এর সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার পুলক রঞ্জন চক্রবর্তী। রিসোর্স পার্সন বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের যুগ্ন পরিচালক রাজেশ আচার্য্য। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জুড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা আক্তার, জুড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিলীপময় দাশ চৌধুরী, জুড়ী থানার ওসি তদন্ত মোঃ হুমায়ুন কবির। বিশেষ বক্তা বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের সহকারী পরিচালক অনিরুদ্ধ দেব রায়। সমন্বয়ক বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের যুগ্ম-পরিচালক আবু তাহির মোঃ হাবিবুল্লাহ। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সোনালী ব্যাংক জুড়ী শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার পবিত্র কুমার হাওলাদার।
উক্ত ওয়ার্কশপে বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে কিছু চক্র বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে জাল নোটের কারবার চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে জাল টাকা ছাড়েন। বিভিন্ন জাল নোট ঘুরে বেড়ায় এক হাত থেকে অন্য হাতে। আসল নোট চেনার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে সবাইকে।
তারা আরো বলেন, ঈদ, পূজাসহ বড় বড় উৎসবে জাল টাকার প্রতারক চক্রদের তৎপরতা বেড়ে যায়। এ থেকে রেহাই পেতে ব্যাংক গ্রাহক ও সাধারণ মানুষকে জাল নোট চেনার উপায় হিসেবে টাকার ওপরে প্রধান নিরাপত্তা চিহ্ন তুলে ধরে তারা নানা পরামর্শ দেন। তাছাড়া জাল টাকা চেনার পদ্ধতি, জাল টাকার কুফল ও প্রভাব সম্পর্কে জন সাধারণকে অবহিতকরণসহ সচেতনতামুলক আলোচনা করেন।
এফআর/অননিউজ