মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার তাহমিনা আক্তারের (১৯) দুই মাস আগে বিয়ে হয়। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তাহমিনা উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের বেলাগাঁও এলাকার বাসিন্দা নাইম হোসেনের স্ত্রী। নাইম ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করেন।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাহমিনার বাবার বাড়ি জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভজিটিলা এলাকায়। তাঁর বাবা বাদশা মিয়া রিকশা চালান। গত এপ্রিল মাসে নাইম হোসেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। নাইমদের মূল বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায়। বছরখানেক ধরে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা জুড়ীর বেলাগাঁও এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। আজ বিকেলে তাহমিনা হঠাৎ ঘরের দরজা বন্ধ করে ফেলেন। পরিবারের সদস্যরা ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া দেননি। একপর্যায়ে দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তাঁর লাশ ঝুলতে দেখেন। খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাতটার দিকে জুড়ী থানার পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
জুড়ী থানার উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম রাত নয়টার দিকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় ওই তরুণীর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজারের সদরে অবস্থিত ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা হবে।
তাহমিনার শ্বশুর তাজুল ইসলাম বলেন, তাহমিনার সঙ্গে তাঁর স্বামী বা শ্বশুরের পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের কলহ ছিল না।
তাহমিনার বাবা বাদশা মিয়া বলেন, কী কারণে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন, তা বুঝতে পারছেন না।
একে/অননিউজ২৪