মৌলভীবাজারের জুড়ীতে উপজেলার জুড়ী নদীর কন্টিনালা অংশে রেল লাইনের ব্রীজ নির্মাণ কাজের জন্য নদীতে অপরিকল্পিত বাঁধ দেওয়ায় পাহাড়ী ঢলে নদী পাড়ের ঘরবাড়ি ও রাস্তা ভাঙনের মুখে পড়েছে। পাহাড়ি ঢলে নদী পাড়ের ৪ থেকে ৫ টি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢল থাকলে গ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ ঘর ও মানুষ চলাচলের একমাত্র রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। ভাঙনের কারণ হিসেবে কামিনীগঞ্জ বাজার ব্রিজের নিচে মূল জুড়ী নদীতে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ এবং বেলাগাঁও-কন্টিনালা রাবার ড্যামের অপব্যবহারকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের জুড়ী নদীর কন্টিনালা অংশে রেল ব্রিজের কাজ চলছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে। বর্তমানে রেল লাইনের ব্রীজ নির্মাণ কাজের জন্য নদীতে বাঁধ দেওয়ায় স্বাভাবিক পথে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে পাহাড়ী ঢলে নদী পাড়ের ঘরবাড়ি ও রাস্তা ভাঙনের মুখে পরেছে। ইতিমধ্যে পাহাড়ি ঢলে নদী পাড়ের ৪ থেকে ৫ টি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে বৃষ্টি বাড়তে থাকলে পাহাড়ি ঢলে গ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ বেশকিছু ঘরবাড়ী ও মানুষ চলাচলের একমাত্র রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কারণ হিসেবে কামিনীগঞ্জ বাজার ব্রিজের নিচে মূল জুড়ী নদীতে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ এবং বেলাগাঁও-কন্টিনালা রাবার ড্যামের অপব্যবহারকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসী দ্রুত গতিতে ঘরবাড়ি ও রাস্তা রক্ষায় সরকারি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
সরজমিনে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ীর লোকজন সকাল থেকে ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এসময় পিডিবির কর্মকর্তারা ঝুঁকিতে থাকা একটি খুঁটি সরিয়ে নিতে কাজ করতেও দেখা যায়।
ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ মোঈদ ফারুক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিংকুর রঞ্জন দাস, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি, জায়ফরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজা, পশ্চিমজুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আনফর আলী, পিডিবির আবাসিক প্রকৌশলী কবির আহমেদ সহ অনেকেই।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন বলেন, সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন এমপি মহোদয় আমাদেরকে বিষয়টি অবগত করেছেন আমরা দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং বলেন, সাবেক মন্ত্রী মহোদয় শাহাব উদ্দিন এমপি সাহেব আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। আমরা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে স্থায়ী কাজ করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা রক্ষা করার পরিকল্পনা নেয়া হবে।
এফআর/অননিউজ