মৌলভীবাজারের জুড়ীতে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ বিজিবি'র উপ-মহাপরিচালক ও সেক্টর কমান্ডার (শ্রীমঙ্গল) কর্ণেল এএইচএম ইয়াসীন চৌধুরী পিএইচডি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মেহেদী হাসান পিপিএম। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জুড়ীর বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে পূজা উদযাপন পরিষদ ও মান্ডপ কমিটির সাথে মতবিনিময় করেন কর্ণেল এএইচএম ইয়াসীন চৌধুরী পিএইচডি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জুড়ী উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের সোনারুপা চা বাগান সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে মতবিনিময় কালে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ বিজিবি'র উপ-মহাপরিচালক ও সেক্টর কমান্ডার (শ্রীমঙ্গল) কর্ণেল এএইচএম ইয়াসীন চৌধুরী পিএইচডি বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজায় কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে
সেজন্য বিজিবি সর্বদা তৎপর রয়েছে। সীমান্ত এলাকার পূজা মন্ডপগুলোর প্রতি রাখা হয়েছে বিশেষ নজরদারি। আমাদের বিওপির নিয়মিত কাজকর্মের বাইরে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে আমরা অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য পূজা উপলক্ষে মোতায়েন করেছি। বিজিবির শ্রীমঙ্গল সেক্টরের আওতাধীন অর্থাৎ আমার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় ১৮৩টি পূজামন্ডপ রয়েছে। আমরা ২৩ প্লাটুন জনবল নিয়োগ করে বেইস ক্যাম্প করেছি। পূজার সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে আমরা নিয়োজিত আছি। অন্যান্য বাহিনীর সাথে বিজিবিরও জনবল থাকবে প্রতিটি পূজামন্ডপের নিরাপত্তায়। সকলের সহযোগিতায় শারদীয় দুর্গোৎসব উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন হবে এ প্রত্যাশা করছি।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এই দেশ আমাদের সবার। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এদেশ সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ, আনসার, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। বিজিবির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বিজিবির এ সেক্টর কমান্ডার।
এদিকে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মেহেদী হাসান পিপিএম বলেন- হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী সব নাগরিককে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়। এটি এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব, শারদীয় দুর্গোৎসব। বছরব্যাপী বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শারদীয় দুর্গোৎসব জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। বিজিবির পক্ষথেকে নিরাপত্তায় কোনো ধরনের ঘাটতি থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, এবারের পূজা খুব ভালোভাবে হবে। কোনো ধরনের কোনো অসুবিধা হবে না। এ জন্য আপনাদেরও সহযোগিতা চাই।
এ সময় বড়লেখা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব, জুড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন, জুড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মনিরুল ইসলাম, জুড়ী প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য হারিস মোহাম্মদ, হাবিলদার রেজাউল করিম, দুর্গামন্দির কমিটির সভাপতি নারায়ন রুদ্র পাল, সাধারণ সম্পাদক সুমন রুদ্র পালসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।