অবসান ঘটতে চলছে দেশের প্রথম পাতাল পথে মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ কাজ শুরুর অপেক্ষার। আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাতাল রেললাইন নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারই অংশ হিসেবে পাতাল রেল এমআরটি লাইন-৫ এর উত্তরা রুটের কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-১ (ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন) কাজ শুরু জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মে) রাজধানীর উত্তরায় ডিএমটিসিএল ভবনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড ও টিওএ করপোরেশন (জাপান) এবং স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের (বাংলাদেশ) মধ্যে এই চুক্তি সই হয়।
মোট ১০টি কন্ট্রাক্ট প্যাকেজের মাধ্যমে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৫ এর কাজ ২০২৮ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী টিওএ করপোরেশন (জাপান) এবং স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (বাংলাদেশ) এই প্যাকেজের কাজ করবে। এ ছাড়া অন্যান্য প্যাকেজগুলোর দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম বিভিন্ন পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন আছে। এমআরটি লাইন-৫ হবে বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল। এই প্রকল্পে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাতাল এবং ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়াল মোট ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল লাইন তৈরি হবে। এর মাঝে যাত্রী উঠা নামায় মোট ১৪টি স্টেশন (৯টি পাতাল ও ৫টি উড়াল) থাকবে।
এমআরটি লাইন-৫ এর রুট অ্যালাইনমেন্ট হলো, হেমায়েতপুর-বলিয়ারপুর-বিলামালিয়া-আমিন বাজার ও গাবতলী। সেখান থেকে দারুস সালাম-মিরপুর ১- মিরপুর ১০-মিরপুর ১৪ ও কচুক্ষেত হয়ে যাবে বনানী। এরপর গুলশান ২ ও নতুনবাজার হয়ে লাইনটি যাবে ভাটারায়। এর মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে আমিন বাজার ও ভাটারা এই অংশে মেট্রোরেলের উড়াল পথ হবে। এবং গাবতলী থেকে নতুনবাজার অংশে পাতাল মেট্রোরেল হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধিনে এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি হতে পাবে ১২ হাজার ১২১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও প্রকল্প সহয়তা থেকে পাবে ২৯ হাজার ১১৭ কোটি ৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের অর্থায়ন করবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি।
এফআর/অননিউজ