নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে দলের একটি গ্রুপ। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়া অধিকাংশ নেতা পৌরসভা ও উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে পরাজিত প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের পুরোনো বাস টার্মিনালে মুক্তমঞ্চে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে সংগঠনের একাংশের নেতাকর্মীদের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন নড়াইল পৌর বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আলী হাসান, জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ মশিয়ার রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব উদ্দিন, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক নবীর হোসেন, সদস্য সচিব এনামুল কবির চন্দন, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি সাইদুজ্জামান আমল, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাচ্চু, নড়াইল পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ফরিদ বিশ্বাস, অপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বক্তারা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দল থেকে বহিষ্কার দাবি জানান। তারা বলেন, তাকে বহিষ্কার করা না হলে আগামি ৫ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য জেলা বিএনপির সম্মেলন সফল হবে না। সমাবেশ শেষে শহরে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে নড়াইল পৌর বিএনপির পরাজিত সভাপতি প্রার্থী আলী হাসান বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে মাঠের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিলাম। বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। কিন্তু গত ১৮ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত নড়াইল পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে আমাকে এক ধরণের কারচুপি করে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। রাতের আঁধারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তার নিজস্ব প্রার্থীকে জয়লাভ করানোর জন্য এক একটি ভোটের জন্য কাউন্সিলরদের ৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন। এ বিষয়ে একই ধরণের বক্তব্য দেন নড়াইল পৌর বিএনপির পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ফরিদ হোসেন বিশ্বাস এবং দেলোয়ার হোসেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জানুয়ারী নড়াইল পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে আলী হাসান সভাপতি এবং ফরিদ হোসেন বিশ্বাস সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করে কাউন্সিলরদের ভোটে পরাজিত হন।
নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, নড়াইল পৌর বিএনপির কাউন্সিলে হেরে গিয়ে একটি গ্রুপ হাবোল-তাবোল বকছে। তারা প্রমান দিক আমি ভোট কিনতে কাউকে টাকা দিয়েছি কিনা। বরং তারা দীর্ঘ ১৭ বছর কোথায় ছিল, আন্দোলন সংগ্রামে তাদের ভূমিকায় বা কি ছিল বিএনপির সবাই তা জানে। এসব করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। #