বাগমারাবাসীকে বাংলা ভাইয়ের সেই ভয়াবহ অত্যাচার ও নির্যাতনের কথা স্বরণ করে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের মদদেই বাংলা ভাই তথা জেএমবি ক্যাডাররা স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোকজনকে হত্যা করে তারা এ অঞ্চলে একছত্রভাবে রাজত্ব কায়েক করার সড়যন্ত্র করেছিলো। আজ নিশ্চয় আপনারা সেই কথা ভুলে যাননি। গতকাল শনিবার বাগমারায় নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ভবানীগঞ্জ নিউম মার্কেটের সভা কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত কখনই দেশের উন্নয়ন চায় না। তারা চায় শুধু স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ও মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়ে দেশের মানুষকে আবারো পাকিস্তানের গোলাম বানাতে। এ জন্য তারা দেশের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কাজেই এ ব্যাপারে আমাদের সকলকেই আরো সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে। কারণ পৃথিবীর কোন অপশক্তিই যেনো আমাদের স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ও মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দিতে না পারে। এ জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এফ.এম আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি স্থানীয় আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, (পুঠিয়া-দূর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুনছুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল মালেক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার সুনিল কুমার কুন্ড, উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহসভাপতি এ্যাড. আফতাব উদ্দিন আবুল, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন, সোনাডাঙ্গা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আজাহারুল হক, কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি এ্যাড. আব্দুল মজিদ ও মুক্তি যোদ্ধা মাষ্টার মকসেদ আলী প্রমুখ।