জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে ধরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশি কর্তৃক হামলার ঘটনায় অস্ত্রের আঘাতে গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন আফজাল হোসেন (৫০) নামের এক বৃদ্ধ।
আহত আফজাল হোসেন (৫০) ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জিয়াপুর এলাকার মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় আহতের কণ্যা শারমিন সুলতানা বাদি হয়ে চিন্হিত ৪ জন ও অজ্ঞাত আরো কয়েক জনের বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল শুক্রবার বেলা বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আফজাল হোসেন তার বাড়ি সংলগ্ন দক্ষিণ জিয়াপুর আমিরা মাদ্রাসাগামী রাস্তার পার্শে জমিতে থাকা মেহগনি গাছের চারা উত্তোলন করার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশী আঃ রহমান ওরফে বগার ছেলে সুলতান হোসেন (৩৫) ও তার স্ত্রী শিউলি আক্তার (২৮), মৃত রইচ মন্ডলের ছেলে রুবেল (৪২), সুলতান হোসেনের ছেলে শাকিব (১৮) ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজন মিলে ধারালো হাসুয়া, ফার্সা, লাঠিসোঁটা নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চারপাশ ঘিরে ধরে মারপিট শুরু করে। মারপিটের এক পর্যায়ে সুলতান হোসেন তার হাতে থাকা ধারালো ফার্ষা দিয়ে আফজাল হোসেনকে আঘাত করলে তাঁর কোমর কেটে রক্তাক্ত জখম হলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এ সময় আফজাল হোসেন জীবন বাঁচানোর তাদিগে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ঘটনার সাথে জড়িতরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার অবস্থা আশংঙ্কাজন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক বগুড়া শ.জি.মে.ক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
আফজাল হোসেনের মেয়ে শারমিন সুলতানা জানান, বর্তমানে তার বাবা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুত্বর আহতাবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রওশোন ইয়াজদানী জানান, এ সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ এসেছে এবং সেটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।