দীর্ঘ দিন পরে ঝালকাঠিতে অনুষ্ঠিত হতে যা”চ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের বর্ধিত সভা। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য এ সভার মধ্য দিয়ে আগামী দিনের নেতৃত্ব নির্বাচন করা হতে পারে বলে ধারনা অনেকের। তাই এই বর্ধিত সভাকে ঘিরে উজ্জীবিত যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। সাজ সাজ রব বিরাজ করছে সবার মধ্যে।
দলীয় সুত্রে জানাগেছে, স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত ঝালকাঠিতে জেলা যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয় নি। তবে কয়েক বার আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সর্বশেষ ২০১১ সালে জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তখন লিয়াকত আলী খানকে আহবায়ক এবং রেজাউল করিম জাকির ও হাবিবুর রহমান হাবিলকে যুগ্ম-আহবায়ক করা হয়েছিল। বেশ কিছু দিন এদের নেতৃত্বে জেলা যুবলীগের কার্যক্রম চলার পরে লিয়াকত আলী খান ও হাবিবুর রহমান হাবিল জেলা আওয়ামী লীগের পদ পেয়ে যুবলীগের রাজনীতি থেকে নিস্কৃয় হন। এর পর থেকে রেজাউল করিম জাকিরের নেতৃত্বে জেলা যুবলীগের রাজনীতি পরিচালিত হত। বর্তমানে কেন্দ্রের নির্দেশে রজাউল করিম জাকির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অতীতে যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে ঝালকাঠি জেলা যুবলীগ অত্যান্ত সু-সংগঠিত। দলের মধ্যে নেই কোন গ্রুপিং ।
কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচী পালিত হচ্ছে জাকজমক ভাবে। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগসহ অন্য সহযোগি সংগঠনের কর্মসূচীতেও যুবলীগের অংশ গ্রহন থাকে উল্লেখ করার মত। বর্তমানে ঝালকাঠি জেলা, সদর উপজেলা ও শহর যুবলীগের শীর্ষ পদ পাওয়ার জন্য প্রায় ডজন খানেক নেতা দৌঁড় ঝাপ করছেন। এদের মধ্যে এগিয়ে থাকা পদ প্রত্যাশীরা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবলীগের আহবায়ক, পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির, সাবেক ছাত্রলীগনেতা, পৌর কাউন্সিলর কামাল শরীফ, সাবেক ছাত্রলীগনেতা , শহর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মো. ছবির হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিঠু, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আসগড় আকাশ, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাইনুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার ইয়াদ মোর্শেদ প্রিন্স। এছারাও অনেকেই যুবলীগের পদ প্রত্যাশী রয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। পদ প্রত্যাশীরা সকলেই রাজনীতির মাঠে সরব রয়েছেন। এবং এরা সকলেই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপির অনুসারী। আগামী শুক্রবার ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম , প্রধান বক্তা থাকবেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ( বরিশাল বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত ) কাজী মাজাহার“ল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতিতে থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, কেন্দ্রীয় সদস্য সাইদুর রহমান জুয়েল ও মো. তানিন তালুকদার। এব্যাপারে সাবেক ছাত্রলীগনেতা , শহর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মো. ছবির হোসেন বলেন,‘ অনেক দিন পরে হলেও আমাদের এখানে যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি এই সভার পরেই জেলা কমিটি ও বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি করা হবে। নতুন নেতৃত্বে চাঙ্গা হয়ে উঠবে মানবিক যুবলীগ।
সাবেক ছাত্রলীগনেতা, পৌর কাউন্সিলর কামাল শরীফ বলেন,‘ বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে ঝালকাঠি জেলার অধিনে যুবলীগের সব কয়টি ইউনিটের নেতা-কর্মীদেরকে নিয়ে মিটিং করা হয়েছে। সেখানে আমরা ব্যবপ সাড়া পেয়েছি । আমরা আশা করছি বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে বর্ধিত সভা সফল হবে।’ ’এব্যাপারে ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের আহবায়ক পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির বলেন,‘ দীর্ঘ দিন পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ঝালকাঠিতে যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমাদের অভিভাবক জননেতা আমির হোসেন আমু এমপি মহোদয় ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সফল চেয়ারম্যান। আমরা তাঁর নেতৃত্বে রাজনীতি করি। আমির হোসেন আমু এমপি মহোদয়সহ কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ভাই ও সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল ভাই আমাদের যে নেতৃত্ব উপহার দিবেন আমরা তাই মেনে নিব।’
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।