ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর শহরের নুর ইসলাম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২০১২ সালের ১৫ জুন। অথচ ২০১৩ সালে আদালতে হাজির হয়ে ছলেনামায় সাক্ষর করেন। এমন এক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে কোটচাঁদপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের নওদাগ্রামে। মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করে জমি আত্মসাতের জন্যই এমন জালিয়াতির ঘটনা ঘটানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
নওদাগ্রামের মৃত তৈইজ উদ্দীনের ছেলে কুরবান আলী অভিযোগ করে বলেন, তার বড় ভাই নুর ইসলাম ২০১২ সালে মারা গেলেও ২০১৩ সালে আদালতে হাজির হয়ে ছলেনামায় সাক্ষর করেন। জমি দখলের জন্য একই গ্রামের আইনদ্দীন নামে এক ব্যাক্তি এই জালিয়াতির আশ্রয় নেয়। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ভুক্তভুগী কুরবান ও তার পরিবার পৈত্রিক সুত্রে ১৭ শতক জমির মালিক। প্রভাবশালী আইনদ্দীন ও তার ভাইদের নজর পড়ে এই জমির উপর। জাল দলিল করে জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে তারা।
জমি দখলে নিতে ২০১৩ সালে প্রতারক আইনদ্দীন আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালত জমির প্রকৃত মালিক কোরবান আলীদের নামে নোটিশ জারি করলে সুচতুর আইনদ্দীন আদালতের নোটিশ গায়েব করে দেয়। আদালতের হাজিরার দিন আইনদ্দীন তার অনুগত লোকদের বিবাদী সাজিয়ে ২০১৩ সালের ১ জুলাই আদালতে হাজির করিয়ে কুরবানের সকল ভাই বোন এমনকি মৃত ভাই নুর ইসলামের জাল স্বাক্ষর করে ছলেনামা করার চেষ্টা করে।
কোটচাদপুর পৌরসভার মৃত্যু সনদ অনুযায়ী কোরবানের বড় ভাই নুর ইসলাম ২০১২ সালের ১৫ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেও আইনদ্দীন জালিয়াতি করে ১৩ সালে হাজিরা নামায় সাক্ষর করায়। কুরবান আলীর প্রশ্ন তুলে বলেন, আমার ভাই ২০১২ সালে মারা গেলে ২০১৩ সালে কিভাবে আদালতে হাজিরা দিলো?
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানার ওসি মোঃ মঈন উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।