বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে গত ২ বছর বন্ধের পর শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) থেকে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় হাজারও ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ইজতেমায় উপস্থিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা ময়দানে অবস্থান করলেও, বয়ান ও আলোচনার মধ্য দিয়ে শুক্রবার থেকে শুরু হয় ইজতেমা। মূল ইজতেমার পূর্ব প্রস্তুতিমূলক সভা হিসেবে পরিচিত এ ইজতেমায় এক থেকে তিন চিল্লা সমাপ্তকারী মুসল্লিরাই অংশ নিয়ে থাকেন।
ইজতেমা শেষে বিভিন্ন কাফেলায় ভাগ হয়ে তারা দেশ-বিদেশে দ্বীনের দাওয়াত দিতে বেড়িয়ে যাবেন। পরে ফিরে এসে মূল ইজতেমায় যোগদান করবেন তারা।
আয়োজক কমিটির মুরব্বিরা জানান, ঢাকা, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ভোলা ও টাঙ্গাইল জেলার তিন চিল্লার (৪ মাস সময় লাগানো) সাথীদের নিয়ে এই জোড় শুরু হয়েছে। আগত মুসল্লিরা ময়দানের উত্তর-পূর্ব কোণের টিনশেডে অবস্থান নিয়েছেন।
সন্ধ্যা নাগাদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার মুসল্লি নির্ধারিত স্থানে অবস্থান নিয়ে মুরব্বিদের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান শুনছেন। যোগাযোগ করা হলে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি ডা. কাজী সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর থেকেই টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আলমি শুরার তত্ত্বাবধানে (জোবায়েরপন্থী) চার দিনের জোড় শুরু হয়েছে।
আগামী রোববার মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে। আগামী সোমবার বিদেশি সাথিদের ফ্লাইটের তারিখ নির্ধারিত থাকায় শুক্রবারের পরিবর্তে এক দিন এগিয়ে বৃহস্পতিবার থেকেই জোড় শুরু হয়েছে।’
প্রশাসন থেকে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমার মুরুব্বি প্রকৌশলী আব্দুর নূর বলেন, আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ইজতেমার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে তিনদিনের জোড় ইজতেমা টঙ্গীর মাঠে শুরু হয়েছে। রোববার (৪ ডিসেম্বর) মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ইজতেমা শেষ হবে।