দেশের ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পঞ্চপান্ডবসহ ২৯ জনকে সম্মাননা দিয়েছে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।
শনিবার (২০ মে) দুপুরে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া প্লাজায় কোয়াবের প্রথম এজিএম ও কাউন্সিলে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে প্রথমে সম্মাননা দেওয়া হয়। এরপর স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসানকে সম্মাননা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে অপরিসীম অবদানের জন্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে সম্মাননা দেওয়া হয়। তবে তাদের কেউই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয় কোয়াবের প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টা এবং জাতীয় ক্রিকেট কোচ ও ক্রীড়ালেখক জালাল আহমেদ চৌধুরী, আফজালুর রহমান সিনহা ও নাদির শাহকে।
১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের দিন বদলে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা দেওয়া হয় আকরাম খানকে। নারী ক্রিকেটে অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয় সাবেক অধিনায়ক সালমান খাতুন ও ফারজানা হক পিংকিকে। ভয়েস অব বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খানকেও দেওয়া হয় সম্মাননা। ক্রিকেট কোচিংয়ে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয় খালেদ মাহমুদ সুজন ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে। ক্রিকেটার থেকে আন্তর্জাতিক আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি হওয়ায় সম্মাননা দেওয়া হয়- নিয়ামুর রশিদ রাহুল, শরফুদ্দৌলাহ ইবনে বিন সৈকত ও মাসুদুর রহমান মুকুলকে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক অধিনায়ক আকবর আলীও সম্মাননা পান। এ ছাড়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অবদান রাখার জন্য তুষার ইমরান, নাঈম ইসলাম, জিয়াউর রহমান, অলক কাপালী, রাজিন সালেহ, জহুরুল ইসলাম অমি, মার্শাল আইয়ুব, এনামুল হক জুনিয়র ও সৈয়দ রাসেলকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
ফরহাদ/অননিউজ