টাক্টরের চাপায় নিহত আবু তালহা
মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রতিনিধি ।।
কুমিল্লার মুরাদনগরে বাবার সামনেই রাবেয়া ব্রিক্সের ঘাতক ট্রাক্টরে কেড়ে নিল আবু তালহা (৫) নামে তরতাজা একটি শিশুর প্রাণ। সে ধামঘর ইউনিয়নের ভাগলপুর
গ্রামের রাসেল মিয়ার ছেলে। শুক্রবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টায় ধামঘর ইউনিয়নের ভাগলপুর স্কুলের নিকট প্রকাশ্য দিবালোকে এ ঘটনা ঘটে। অবশেষে মামলা ছাড়াই বাদ আছর লাশ দাফন করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবু তালহা ভাগলপুর হাফেজিয়া মাদরাসায় লেখাপড়া করতো। শুক্রবার সকালে বাবা রাসেল মিয়ার সাথে পাশ^বর্তী নহল চৌমুহনী বাজারে যায় আবু তালহা। বাজার শেষে সিএনজি অটো রিকশা যোগে ভাগলপুর নামক স্থানে নামে।
তখন রাস্তা পারাপারের সময় রাবেয়া ব্রিক্সের একটি মাটিবাহী ট্রাক্টর আবু তালহাকে চাপা দিলে সে গুরতর আহত হয়। এ সময় তাকে প্রথমে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক কুমিল্লা নেওয়ার পরামর্শ দেয়। তাৎক্ষনিক কুমিল্লা নেওয়ার পথে দেবিদ্বার নামক স্থনে আবু তালহা মারা যায়। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে মা স্কুল শিক্ষিকা লুৎফা বেগমের আর্ত চিৎকারে আকাশ ভারী হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে মুরাদনগর থানার আমিনুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দুপুরে থানায় বসে দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে মামলা না করার শর্তে বিষয়টি সমাধান করা হয়।
নিহত আবু তালহার বাবা রাসেল মিয়া বলেন, ইটভাটার মালিক সকাল থেকেই বিষয়টি সমাধান করার জন্য বিভিন্ন লোকজন ধরেছে। তাই দুপুরে থানায় বসে বিষয়টি
পুলিশ সমাধান করে দিয়েছে। আমাদের কোন অভিযোগ নেই। রাবেয়া ব্রিক্সের মালিক শামছুল হক বলেন, বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। থানা পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে সমাধান করে দিয়েছে। কিছু লোকজন ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল। আমাদের ট্রাক্টরের কোন দোষ নেই। মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুল বারী বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে কেউ মামলা দিতে রাজি নয়। থানায় বসে সমাধান করার বিষয়টি সঠিক নয়।
শান্ত/অননিউজ