দেবীদ্বারের জাফরগঞ্জ বাজার এলাকায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চালিত ট্রাকে আটকে রেখে ২৮ বছর বয়সি এক নারীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষক এমরান(২৫)কে বুধবার সকালে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ভিকটিম একজন স্বামী পরিত্যাক্তা নারী (২৮)। তার গ্রামের বাড়ি সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায়। পেশায় তিনি একজন নাট্য অভিনেত্রী ও টিকটকার। দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ গ্রামের ফরিদ মেম্বারের বাড়ির মো. শহিদুল্যাহর ছেলে আন্ত:জেলা ট্রাক চালক মোঃ এমরান এর সাথে প্রায় ২ বছর পূর্বে জাফলং এলাকায় টিকটক করার সময় ভিক্টিমের পরিচয় হয়। ওই সময় মোঃ এমরান ভিক্টিমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। পরবর্তিতে ওদের দু’জনের মধ্যে কথোপকথন চলার একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
গত মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) এমরান ভিক্টিমকে বিয়ের আশ্বাসে সিলেট থেকে নিজে চালিত ট্রাকে করে রাত অনুমান ১২টায় দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ এলাকায় নিয়ে আসে। জাফরগঞ্জ বাজার হতে প্রায় আধা কিলোমিটার দুরে রাস্তার পাশে নির্জন স্থানে ট্রাক থামিয়ে এমরান ট্রাকের ভিতর ভিক্টিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। উক্ত ঘটনায় ভিক্টিম বাদী হয়ে বুধবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মোঃ এমরানকে অভিযুক্ত করে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এমরানকে গ্রেফতার করে বুধবার দুপুরে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে।
ভিক্টিম জানান, এর আগেও এমরান ভিক্টিমকে বিয়ের আশ্বাসে গত ১৮ মার্চ তার নিজ বাড়ি জাফরগঞ্জে নিয়ে আসে। এমরান তার পিতা- মাতার সাথে জাফরগঞ্জ পশ্চিমপাড়া তাজু হুজুরের বাড়ীতে ভাড়া বাসায় থাকত। ঘটনার দিন এমরানের পিতা- মাতা বাসায় না থাকার সুবাধে ১৮ মার্চ দিবাগত রাত ১০টা থেকে পরদিন ১৯ মার্চ সকাল ১১টা পর্যন্ত ভিক্টিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, ধর্ষনের অভিযোগ পাবার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে। ভিক্টিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।