হারলেই সিরিজ হাত ছাড়া। সেই সঙ্গে ঘরের মাটিতে সিরিজ জয়ে ছেদ পড়বে বাংলাদেশের। আর ইংল্যান্ড পেয়ে যাবে বিশ্বকাপের আগে উপমহাদেশে ভালো করার অনুপ্রেরণা।
এমন পরিস্থিতির সামনে সাত বছর আগে দাঁড়িয়ে ছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ সালে প্রথম ওয়ানডে হেরে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সমতায় ফিরেছিল তারা। এবারও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি টিম টাইগার। আর এটি করতে পারলে ঘরের মাঠে রাজত্ব করে চলা বাংলাদেশ সিরিজ জয়ের রেকর্ড অক্ষুণ্ন রাখার পথে এগিয়ে যাবে।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি শুরু হবে বেলা ১২টায়। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টেলিভিশন ও টি-স্পোর্টস।
বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিং করে ২০৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচটি চ্যালেঞ্জিং-ও হয়ে ওঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দাভিদ মালানের ধৈর্যশীল সেঞ্চুরিতে তিন উইকেটে জয় পায় ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে সফরকারীরা। বাংলাদেশের জন্য আজ দ্বিতীয় ওয়ানডে বাঁচা-মরার।
ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায়। আগের ম্যাচে গ্যালারি ছিল অনেকটাই ফাঁকা। আজ শুক্রবার ছুটির দিন, গ্যালারি হয়তো থাকবে ভরা।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচেও অপরিবর্তিত দল নিয়ে মাঠে নামতে পারে। দুএকটা পরিবর্তন দেখা যেতে পারে ইংল্যান্ডের একাদশে। তাদের মালান ছাড়া আর কেউ উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি। ইংল্যান্ডের পঞ্চম বয়স্ক ব্যাটার হিসাবে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পেয়েছেন মালান। তাদের বোলিংয়েও ছিল না খুব বেশি চমক। তারা ২৬ রান অতিরিক্ত দিয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে। ওয়ানডে সিরিজে একদিন বিরতি থাকায় দুদলই কাল অনুশীলন করেনি।
তবে জয়ের খোঁজে থাকা বাংলাদেশ শিবিরকে অস্বস্তিও ভোগাচ্ছে। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে ব্যক্তিগত অনুশীলনের সময় আঙুলে চোট পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ওদিকে হ্যামস্ট্রিংয়ে সমস্যা বোধ করছেন পেসার তাসকিন আহমেদও। অবশ্য টিম ম্যানেজমেন্টের আশা, দুজনকেই হয়তো শুক্রবারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাওয়া যাবে। তারপরও ব্যাকআপ হিসেবে শামীম হোসেনকে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বৃহস্পতিবার।
মূলত বদলি ফিল্ডার হিসেবেই শামীমকে বিবেচনা করা হয়েছে। ফলে একাদশে তার সুযোগের সম্ভাবনা ক্ষীণ। মুশফিক-তাসকিন খেলতে পারলে প্রথম ম্যাচের একাদশ নিয়েই বাংলাদেশ দলকে মাঠে দেখা যাবে। পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই ইংল্যান্ডের একাদশেও।