তরুণদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গ্রামীণফোন। এ প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ‘জিপি অ্যাকাডেমি’উন্মোচন করেছে। এ অ্যাকাডেমি ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে তরুণদের প্রস্তুত করে তুলতে সহায়তা করবে।
সদ্য প্রতিষ্ঠিত জিপি অ্যাকাডেমির লক্ষ্য বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুণ প্রজন্মকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে তোলা। জিপি অ্যাকাডেমির প্রোগ্রাম ও কোর্সগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা তরুণদের ক্যারিয়ার প্রস্তুতি জোরদার করবে, উদ্যোক্তা হওয়ার দক্ষতাকে শানিত করবে এবং তাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে। ‘জিপি এক্সপ্লোরারস’প্রোগ্রামের মাধ্যমে গ্রামীণফোন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের গত দুই বছর ধরে আপস্কিল করে যাচ্ছে। এখন জিপি অ্যাকাডেমির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য দেশজুড়ে তরুণদের দক্ষতার বিস্তৃতি ঘটানো। ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য জিপি অ্যাকাডেমির প্রোগ্রাম এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যা অ্যাকাডেমিক জ্ঞান ও পেশাগত ক্ষেত্রের মধ্যে বিদ্যমান ব্যবধান দূর করবে এবং শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সংশ্লিষ্ট দক্ষতা অর্জনে সহায়তার মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে তুলবে। পাশাপাশি, তরুণদের ক্যারিয়ারের পরবর্তী স্তরে প্রবেশের প্রস্তুতির জন্য জিপি অ্যাকডেমির কোর্সগুলো তাদের অ্যাকাডেমিক জ্ঞানের সাথে অন্যান্য ভবিষ্যৎ উপযোগী দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ)’র নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) দুলাল কৃষ্ণ সাহা গ্রামীণফোনের এই অনন্য উদ্যোগে তার পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, "আমি প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনীর মাধ্যমে দক্ষতা তৈরির অনন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের অংশগ্রহণ দেখে আনন্দিত। বেসরকারি খাতে এই ধরনের উদ্যোগ তরুণদের আরো দক্ষ করতে এবং তাদের বাস্তব কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করতে কার্যকর হবে।"
টেলিনর এএসএর ইভিপি ও চিফ পিপল অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি অফিসার সিসিলি হিউচ জিপি অ্যাকাডমির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য ভবিষ্যৎমুখী কর্মদক্ষতা তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টেলিনর এবং সিসকোর যৌথ প্রয়াসে গ্রামীণফোন অ্যাকাডেমির উদ্বোধনের অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি বিশ্বাস করি এবং আশা রাখি যে, নির্ভরযোগ্য বৈশ্বিক অংশীদারদের সাথে নিয়ে আমাদের এমন সম্মিলিত প্রচেষ্টা বাংলাদেশের তরুণদের ডিজিটাল দক্ষতা বিকাশে, ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে এবং বিশ্বব্যাপী একটি প্রতিযোগিতামূলক কর্মশক্তি গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।"
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, "প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং সামাজিক প্রভাব প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণদের প্রকৃত সম্ভাবনাকে বের করে আনার প্রত্যয় ধারণ করে গ্রামীণফোন। আমরা আমাদের বিভিন্ন আপস্কিলিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তরুণদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল দক্ষতার সমন্বয় ঘটানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি আশাবাদী।