কুমিল্লার দেবীদ্বারে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি, টোকেন বাণিজ্য ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে দেবিদ্বার- চান্দিনা সড়কের মোহনা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয় (সার্কেল) সামনে বিক্ষোভ করেছে অটোরিক্স ও সিএনজি চালকরা। গতকাল রোববার দুপুরে শতাধিক সিএনজি চালক প্রায় দুই ঘন্টা যাবৎ ওই বিক্ষোভ করে।
বিক্ষুব্ধ চালকরা জানান, সড়কে পদে পদে চালকদের হয়রানি করা হয়। পুলিশের মাসিক টোকেন, থানার ডিউটি, স্ট্যান্ড টোকেন, সড়কে জিবি দেওয়ার পরও আমাদের অকারণে মামলা দেয়া হয়। ওই মামলা কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা আদায় করা হয়। না দিলে সিএনজি আটকে রাখা হয়।
তারা আরো জানান, সহকারী পুলিশ সুপার (দেবীদ্বার-ব্রাহ্মণপাড়া সার্কেল) কার্যালয়ের অদূরে ট্রাফিক পুলিশ বেশকটি সিএনজি আটক করে নানা অজুহাতে জরিমানা আদায় করতে থাকে। এ সময় ধামতী থেকে এক অন্তঃসত্বাকে দেবীদ্বার হাসপাতালে নেবার পথে সেটি থামিয়ে অসুস্থ্য নারীকে নামিয়ে তা আটক করে জরিমানা দাবী করে। এতে সিএনজি চালকরা ক্ষুব্ধ হয়ে সড়কে গাড়ি ফেলে অবরোধ সৃস্টি করে এএসপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় এএসপি কার্যালয়ের আঙ্গিণায়ও বেশ কিছু গাড়ি রেখে দেয় তারা। এসময় সহকারি পুলিশ সুপার শাহ মোস্তফা তারেকুজ্জমান বিদ্যমান সমস্যা সমূহ দ্রুত নিরসনের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।
অভিযুক্ত ট্রাফিক পরিদর্শক মো. তারেকুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার বলেন, চালকদের গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা একটি রুটিন ওয়ার্ক। কোনে অনিয়ম পেলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করি। এতে কিছু সংখ্যক চালক ক্ষুব্ধ হয়।
এ বিষয়ে সহকারি পুলিশ সুপার শাহ মোস্তফা তারেকুজ্জমান বলেন, আমি এ বিষয়ে সুপার মহদোয়ের সাথে কথা বলেছি, তিনি আমাকে বলেছেন, চালকদের কোনো অভিযোগ থাকলে তা লিখিত আকারে দেয়ার জন্য। খুব দ্রুতই সিএনজি চালক-মালিক ও স্ট্যান্ডের ইজারাদারদের নিয়ে আমরা বসে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যাসমূহের সমাধান করবো।