ডাকসু নির্বাচনে জিতলেই ইলার বিয়ে, ক্যাম্পাসে চড়ুইভাতি

অনলাইন ডেস্ক।।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট আগামীকাল মঙ্গলবার। এ দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত হলের বাইরের আটটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। এই নির্বাচনে সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক হিসেবে লড়ছেন তরুণ শিল্পী ফারিয়া মতিন ইলা, যাকে সবাই চেনেন ইলা লালালালা নামে। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, ভোটে জিতলেই বিয়ে করবেন। তবে তার আগে ক্যাম্পাসে বিজয় উৎসব হিসেবে করবেন চড়ুইভাতি।

ইলা ডিমোক্রেজি ক্লাউনস্ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট। মাত্র এক বছরের পথচলায় পাঁচটি গান করেছে দলটি। শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে গানগুলো। অথচ কোনো গানেরই রেকর্ড তারা ছাড়েননি। কনসার্ট থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হয়ে সেগুলো রেকর্ড হয়ে আছে শ্রোতার হৃদয়ে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গানগুলো পরিচিতি পেয়েছে।

ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে প্রচারণায় রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন এই তরুণ। ফেসবুকে জানিয়েছেন, নির্বাচনে জিতলে ক্যাম্পাসে চড়ুইভাতি ও গান-বাজনার আয়োজন করবেন তিনি। লিখেছেন, আগামীকাল জিতলে চড়ুইভাতির আয়োজন করব, ছোটবেলায় যাকে পিকনিক বলতাম আমরা। সবাই মিলে রান্নাবান্না করে খিচুড়ি আর মাংস খাব। যারা মাংস খান না, তারা সবজি খিচুড়ি খাবেন। আর গানবাজনা তো হবেই।

বিজয়ের আনন্দে আর কী কী করবেন ইলা? এরই মধ্যে একের পর এক কর্মতালিকা প্রকাশ করেছেন এই কণ্ঠশিল্পী। জানিয়েছেন, জিতলে বিয়ে করবেন। ফেসবুকেই তিনি লিখেছিলেন, ‘ডাকসু জিতলে পরদিনই বিয়ে করব ইনশাআল্লাহ। আমার শুভবিবাহের দাওয়াত। নিমন্ত্রণ খাইতে চাইলে আমাকে ডাকুসতে জিতান।’

সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক হলে শিক্ষার্থীদের জন্য কী করবেন? জানতে চাইলে জাগো নিউজকে ইলা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল এক্সচেঞ্জের জন্য খুবই সুন্দর জায়গা। প্রত্যেকটা মানুষ নিজের কালচার নিয়ে আসে এখানে। সবাই সবার কাছ থেকে গ্রহণ করে। ঢাবিতে বিভিন্ন জেলার ছেলে-মেয়েরা আসছে। আমি তাদের নিজের মাটির সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করবো।’

ইলার জন্ম ও বেড়ে ওঠা যশোরে। সেখানেই শিখেছেন সেমি-ক্ল্যাসিক্যাল। ছয় বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বিএএফ শাহীন কলেজে পড়াশোনা করেছেন। শৈশব থেকেই বিভিন্ন মাজারে লালনের গান করতেন। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত গান করেছেন। নবম শ্রেণিতে ওঠার পর পারিবারিকভাবে তার গান গাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিয়া মতিন ইলা। এখানে ভর্তির পর আবারও গানে ফেরেন ইলা। ক্যাম্পাসেই শুরু করেন রাজনীতি ও গানের দল। দলের প্রথম গান ‘আহুতি’, এরপর ‘সঙ্গতি’, ‘নির্বিকার’, ‘রাষ্ট্র’ ও ‘অচিরজীবীর প্রার্থনা’।

গণ-অভ্যুত্থানের পর ‘জরুরি সংযোগ’ কনসার্টের আয়োজন করেছিল ব্যান্ডটি। গত বছরের নভেম্বর মাসে শিল্পকলা একাডেমিতে ‘আওয়াজ উডা’ কনসার্টে আয়োজনে গাইতে দেখা গেছে তাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক শো করেছে ইলার দল।

সূত্রঃ jagonews24
আই/অননিউজ২৪।।

আরো দেখুনঃ