ডাক্তারদের দাওয়াতে এক ছাদের নিচে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, প্রকৌশলী, কৃষি ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তা
কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কেউ ম্যাজিস্ট্রেট, কেউ পুলিশ, কেউ প্রকৌশলী, কেউবা কৃষি ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তা। সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবাই গাইছেন গান। সন্তানরা ব্যস্ত আবৃত্তি ও অভিনয়ে। কেউ করছে নৃত্য। বাদ্যযন্ত্রের তালে অনেকে মঞ্চে উঠেই নৃত্যে মেতে উঠেন। এভাবেই জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পারিবারিক মিলন মেলা ও বসন্তবরণ অনুষ্ঠান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে বরুড়ার সকল দফতরের ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়েছেন।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কুমিল্লার বরুড়ার একটি অভিযাত রেস্টুরেন্টে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
বিকেল চারটা থেকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের গান পরিবেশন করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নু-এমং মারমা মং, আদর্শ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহমেদ মঞ্জুরুল ইসলাম, বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. নূরেন তাসকীন তুলি ও ডা. তানজিম মজুমদার। অনুষ্ঠানে বরুড়া উপজেলায় কর্মরত সকল সরকারি দফতরের কর্মকর্তাদের পরিবার উপস্থিত ছিল। মূলপর্বের বাইরে সবাই গান, নৃত্য ও আবৃত্তিতে অংশ নেয়।
বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. ভাস্কর কিশোর মহলানবিশের উপস্থাপনায় ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নু-এমং মারমা মং। অনুষ্ঠানে সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. নাজমুল আলম, বরুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঈন উদ্দিন, বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, বরুড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. ওসমান গনি, বরুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. জালাল উদ্দিন, বরুড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, আদর্শ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহমেদ মঞ্জুরুল ইসলাম, ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম কিবরিয়া, সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মেজবাহ উদ্দিন, বরুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, মো. ইয়াসিন মিয়া, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার তনু, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী নুর মোহাম্মদ শামীম।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নু-এমং মারমা মং বলেন, সরকারের কর্মচারীরা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো বেশ কঠিন। তাছাড়া সকল দফতরের কর্মকর্তাদের এভাবে মাতিয়ে তোলা আরও কঠিন। সারাদিন জনগনের জন্য সময় দিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস মাঝেমধ্যে হারিয়ে যায়। এসব মিলনমেলা আমাদের কাজের আগ্রহ বাড়ায়। কাজে প্রাণবন্ত হতে সহযোগিতা করে। এই কাজটি করেছে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তারা স্বাস্থ্যসেবায়ও এগিয়ে বিনোদনেও এগিয়ে।
বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল বলেন, সবাই জনসেবায় ব্যস্ত। কিন্তু পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও সহকর্মীদের সাথে আনন্দ করার সময় তেমন পান না। সেই চিন্তা থেকেই মূলত এই উদ্যোগ নেয়া। সবার অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করেছে। আশাকরি সামনেও এমন আয়োজন চলমান থাকবে।
এফআর/অননিউজ