আজ ১৪ নভেম্বর বুধবার। বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি, কুমিল্লার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক একুশে পদকপ্রাপ্ত মহিয়সী নারী ডা: যোবায়দা হান্নানের ৭৩তম জন্মদিন। জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি, কুমিল্লা’র উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
তাঁর জন্মদিনে বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি, কুমিল্লা’র কার্যকরী কমিটি, আজীবন সদস্য, সাধারণ সদস্য ও প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য ,ডা: যোবায়দা তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাহফুজুল হক ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী। ডাঃ ওয়ালী উল্লাহের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর তিনি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলায় আশারকোটা গ্রামে বসবাস শুরু করেন। ডা: যোবায়দা হান্নান কুমিল্লায় বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি, কুমিল্লা পরিচালিত বিকো ও চক্ষু হাসপাতালসহ বিভিন্ন জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন। এছাড়াও তিনি কুমিল্লা জেলায় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও নারী সংগঠন সমূহের জন্য বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রদান করেন।
কর্ম জিবনে তিনি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলায় আশারকোটা গ্রামকে স্ব-নির্ভর এলাকা করতে ভূমিকা পালন করেন। তিনি সেখানে ১৯৮৪ সালে ডা. যোবায়দা হান্নান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ১৯৮৫ সালে ডা. যোবায়দা হান্নান মহিলা কলেজ, এবং ১৯৯০ সালে ডা. যোবায়দা হান্নান প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির কুমিল্লা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এবং শিশু চক্ষু ফাউন্ডেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ঊষসী পুরস্কার, ১৯৮৫ জাতীয় অধ্যাপক মোঃ ইব্রাহিম পুরস্কার, ১৯৯৫ চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি কর্তৃক ত্রিরত্ন পুরস্কার, ১৯৯৬ জাতীয়ভিত্তিক সমাজসেবা পুরস্কার, ১৯৯৭ সমাজসেবায় একুশে পদক, ২০০৪ রোটারি সিড পুরস্কার, ২০০৪-০৫ অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার, ২০০৬ পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন।
যোবায়দা হান্নান ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।