আগামী ৬ জানুয়ারি মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর। কিন্ত গত আসরের মতো এবারও মূল আসরের বড় সময় ধরে থাকছে না ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) প্রযুক্তি। শুধুমাত্র নকআউট পর্বে (এলিমিনেটর, কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল) পাওয়া যাবে পূর্ণ শক্তির ডিআরএস।
তবে বিপিএলের বাকি সময়জুড়ে অল্টারনেট ডিআরএস দিয়ে কাজ চালানো হবে। কিন্তু বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টের পুরো সময় ডিআরএস প্রযুক্তি না থাকায় বিসিবির কঠোর সমালোচনা করেছেন, আসরের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দীন।
ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম বড় ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। ফলে অনুমেয়ভাবে বোর্ডের অর্থ নেহায়েত কম নয়। অথচ বিপিএলের মতো বড় আয়োজনের প্রায় ৯০ ভাগ সময় ডিআরএস প্রযুক্তি থাকছে না। যা কিছুতেই এটা মানতে পারছেন না দেশসেরা এই কোচ।
বিসিবি তথা বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সমালোচনা করে সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমার মনে হয় আয়োজকরা এবার অনেক সময় পেয়েছিলেন, এ ছাড়া বোর্ডেরও এখন অনেক টাকা। তাই আমার মনে হয় এসব টুর্নামেন্টে ডিআরএস থাকা উচিত। কারণ, আপনাদের তো টাকার অভাব নেই। তো আমার কাছে মনে হয় এত বড় একটা টুর্নামেন্টে অবশ্যই ডিআরএস থাকা উচিত।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটে আম্পায়ারিং নিয়ে সমালোচনা বহু পুরোনো। গত আসরের শুরুতে আম্পায়ারিং তুমুল প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। পরে অলটারনেট ডিআরএস দিয়ে কোনোমতে চালানো হয়েছিল। কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত রিভিউ করতে না পারলে যেকোনো দল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে শঙ্কা তার।
সালাউদ্দীনের ব্যাখ্যা, ‘এত বড় একটা টুর্নামেন্ট, ডিআরএস না থাকলে আমাদের তো মন খারাপ হবেই। যে কোনো একটা সিদ্ধান্তের জন্য হয়তো আপনি পুরো টুর্নামেন্টটা হেরে যেতে পারেন।’
এদিকে গতকাল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ঈসমাইল হায়দার মল্লিক জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক সূচিতে ঠাসা ম্যাচের কারণে ডিআরএস প্রযুক্তি টুর্নামেন্টের শুরু থেকে পাচ্ছে না বোর্ড। তবে এলিমিনেটরের তিন ম্যাচ ও ফাইনালে দেখা যাবে পূর্ণ ডিআরএস প্রযুক্তি। ফলে ডিআরএস ছাড়া টুর্নামেন্ট কেমন হয়, এটাই এখন দেখার বিষয়।