বাগমারায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি গভীর নলকূপের সীমানার মধ্যে অবৈধভাবে ড্রেন নির্মাণে বাধা দেওয়ায় এক কৃষককে কুপিয়ে আহত করেছেন বড়বিহানালী ইউনিয়ন আ.লীগের প্রভাবশালী নেতা প্রভাষক আবু বাক্কার সিদ্দিক ও জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে তাদের ভাড়াটিয়া লোকজন। আহত কৃষক সাইফুল ইসলামকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
থানার ওসি আমিনুল ইসলাম শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, মুরালীপাড়া গ্রামের মকসেদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম সম্প্রতি পাত্তিবিলে বড়বিহানলী মৌজায় এক ফেজের একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে সেচ দিয়ে বোরো ধান চাষ করে আসছিলেন। বড়বিহানালী ইউনিয়ন আ.লীগের সহসভাপতি প্রভাষক আবু বাক্কার সিদ্দিক এবং ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ওই গভীর নলকূপের ১০-১২ বিঘা জমি দখলে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ওই গভীর নলকূপের সীমানার মধ্যে জোরপূর্বক ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাজশাহীর অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। এর প্রেক্ষিতে বিচারক ওই গভীর নলকূপের সীমানার মধ্যে কোনো প্রকার ড্রেন নির্মাণ করা যাবে না মর্মে ১৪৪ ধারা জারি করেন। আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রতিপক্ষকে থানার এএসআই জাহিদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত একটি নোটিশও দেওয়া হয়। কিন্তু নোটিশ পাওয়ার পরও সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আ.লীগ নেতা আবু বাক্কার সিদ্দিক ও জালাল উদ্দিন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ১৫-২০ জন ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে ওই গভীর নলকূপের সীমানার মধ্যে জোরপূর্বক ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে হামলা চালিয়ে কৃষক সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
এ দিকে বড়বিহানালী ইউনিয়ন আ.লীগের সহসভাপতি প্রভাষক আবু বাক্কার সিদ্দিক কৃষকের উপর হামলা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, অনেক আগেই তিনি তার গভীর নলকূপটি জালাল উদ্দিনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।