ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নকশা ও নীতিবহির্ভূত রেস্তোরাঁগুলোর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করায়, রেস্তোরাঁ বন্ধের পাশাপাশি আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গত বছর রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। চালানো হয় অভিযান, গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি, দেওয়া হয় নানা নির্দেশনা। তবে সময়ের সঙ্গে সেই তৎপরতা আবারও স্তিমিত হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আইন অনুযায়ী আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবে সিটি কর্পোরেশন নিজেরাই নিয়ম ভেঙে বহু রেস্তোরাঁকে দিয়েছে অনুমোদন। মিরপুর, ধানমণ্ডিসহ রাজধানীর নানা এলাকায় এখনও রয়েছে নকশা ও নীতিবহির্ভূত বহু রেস্তোরাঁ।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) এসব রেস্তোরাঁয় ইস্যুকৃত ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ডিএসসিসি। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে—লাইসেন্স ইস্যুর সময় কেন নিয়ম লঙ্ঘন করে অনুমোদন দেওয়া হলো? এর পেছনে করপোরেশনের কোনো কর্মকর্তা অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন কি না, তাও তদন্তসাপেক্ষ।
ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, “এই লাইসেন্সগুলো প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই কিছু অসৎ কর্মচারীর ভুল তথ্য দিয়ে সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাই এগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ করতে মালিকদের বাড়তি সময় দেওয়ার সুযোগ নেই। যেকোনো সময় অভিযানে নামবে করপোরেশন। তাঁর মতে, পূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করলে পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হতো না।
এদিকে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমি উদ্যোগ ও হঠাৎ সিদ্ধান্তে বারবার বিপাকে পড়তে হয় তাদের। তারা ভয় দেখানো নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে টেকসই ও বাস্তবসম্মত সমাধান চান।
রাজধানীবাসীর দাবি, বাঙালির খাবার ও বিনোদনের জায়গাগুলোকে নিরাপদ রাখতে কেবল কথায় নয়, কার্যকর পদক্ষেপে তা প্রমাণ করতে হবে।
সূত্র:বিডি২৪লাইভ
মজ/অননিউজ২৪