কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজার সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে নিখোঁজের ৬ দিন পুকুরে ভাসমান একটি অর্ধ-গলিত মরদেহ
উদ্ধার করে বুড়িচং থানা পুলিশ। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ণমতি গ্রামের বাজার থেকে স্থানীয় স্কুল ছাত্রের নিখোঁজের ৬ দিন পর মোকাম ইউনিয়নের নিমসার বাজার এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের একটি পুকুর হতে ভাসমান এই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, উপজেলার বুড়িচং সদর ইউনিয়নের পূর্ণমতি গ্রামের চা দোকানদার আক্কাস মিয়ার ছেলে ইয়াসিন (৯) গত ৩০
সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় পূর্ণমতি বাজার থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর তাকে বহু খোজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে গত ১ অক্টোবর (বুধবার)বুড়িচং
থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করে। নিখোঁজ ইয়াসিন মিয়া স্থানীয় পূর্ণমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্র বলে জানিয়েছেন শরীফুল ইসলাম নামের ওই গ্রামের একজন মোবাইল ব্যবসায়ী।
৫ অক্টোবর (শনিবার) বিকালে ঢাকা – চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়ন এর নিমসার সংলগ্ন পরিহল পাড়ার মৎস্য খামারি
শাহীনের পুকুরে একটি অজ্ঞাত মরদেহ পঁচা দুর্গন্ধ ছড়ানোর কারনে সাধারণ পথচারীরা দেখতে পায় পানিতে একটা মরদেহ ভেসে আছে দেখে দেবপুর পুলিশ
ফাঁড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মোঃ শামীম আহমেদ সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এই বিষয়ে এস আই মোঃ শামীম আহমেদ খোলা কাগজকে জানান, আমরা নিমসার পরিহল পাড়ার ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের পুকুর থেকে লাশটির
মুখে, চোখ এবং গলা একটি গামছা দিয়ে বাধা ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করি। ছেলেটির পরিচয় আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তার বাড়ি উপজেলার
পূর্ণমতি গ্রামে। গত ৩০ সেপ্টেম্বরে সে নিখোঁজ হয়। ধারনা করা হচ্ছে গত ৩-৪ দিন আগে ছেলেটিকে হত্যা করে পানিতে নিক্ষেপ করা হয়। লাশ উদ্ধার করে
ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায় যে নিহত ইয়াসিন মিয়ার পিতা একজন দরিদ্র চা দোকানদার।বুড়িচং সদর ইউনিয়নের পূর্ণমতি বাজারে তার একটি চায়ের দোকান রয়েছে। তার ৩ মেয়ে ও এই একজনই ছেলে ছিল। তাকে দূর্বৃত্তরা হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলেছে বলে ধারনা করছে স্থানীয়রা।
একে/অননিউজ24