রপ্তানি পোশাক চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ইতোমধ্যে বসানো ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) আংশিকভাবে চালু করা হচ্ছে।
আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা চালুর মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে।
সিসিটিভি বসানোর কাজ গত বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ করতে না পারায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে শেষ হওয়া অংশের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো চালু করে ইতোমধ্যে নজরদারির কাজ শুরু হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালের জুনে ‘হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা শীর্ষক প্রকল্পের আওতাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়। মহাসড়কের ২৬৫ কিলোমিটারের মধ্যে চুরি-ডাকাতি, চাঁদাবাজি রোধের পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য ৪৯০টি স্থানে ১ হাজার ৪২৭টি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে।
বসাতে যাওয়া এসব ক্যামেরার নম্বরপ্লেট, গতিপথ, সন্দেহজনক অনুপ্রবেশ, স্লো ট্রাফিক এলাকা, বেপরোয়া গতিসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, রাজধানীর সাইনবোর্ড থেকে চট্টগ্রামের সিটিগেট এলাকা পর্যন্ত দুটি অঞ্চলে বিভক্ত হাইওয়ে পুলিশ। দাউদকান্দি থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত গাজীপুর অঞ্চল এবং বাকি অংশ কুমিল্লা অঞ্চল মহাসড়কে লাগানো ৪৯০টি পোল (ক্যামেরা লাগানোর খুঁটি), ৫টি মনিটরিং সেন্টার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
ক্যামেরা থেকে ডেটা সংরক্ষণের জন্য মেঘনাঘাট এলাকায় একটি দ্বিতল ডেটা সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। একতলায় একটি ডেটা সেন্টার এবং দ্বিতীয় তলায় একটি মনিটরিং সেন্টার থাকবে। এ ছাড়া গাজীপুর অঞ্চলে একটি মনিটরিং সেন্টার হবে। আর কুমিল্লা অঞ্চলের চারটি মনিটরিং সেন্টারের মধ্যে মেঘনাঘাট ছাড়াও দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা, কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয় ও বারো আওলিয়া হাইওয়ে থানায়ও একটি করে মনিটরিং সেন্টার হবে।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক বরকত উল্লাহ খান বলেন, মহাসড়ক নিরাপদ করতেই সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। মহাসড়কে অপরাধ দমনে জন্য বিশেষ করে রপ্তানি পোশাক চুরি, দুর্ঘটনা হলে যানবাহন শনাক্ত করা এবং পুরো এলাকা নজরদারির আওতায় আনতেই এ বিশেষ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।