সুভাষ বিশ্বাস, নীলফামারী।
তথ্য গোপন,ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জাল, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে নীলফামারী কিশোরীগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় ছাত্র ও শিক্ষক রা একাধিক বার রংবাজ প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সাত্তারের মার মুখি আচরণ বিভিন্ন ডাঙ্গা হামলার সাথে জড়িত থাকায় ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ থানার জি আর নং ১১/৯৮ /২০২২ইং এ ফৌজদারী মামলায় ১০ দিন হজত বাস করলেও সম্পূর্ণ তথ্য গোপন রেখে সরকারি বেতন ভাতা সহ বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে বেতন-ভাতা উত্তোলনের অভিযোগে অধিকতর তদন্ত করেছে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও এসিল্যান্ড । প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে কোন অভিভাবক ও শিক্ষক তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার চুমকি প্রদর্শন ও অভিভাবক ও ছাত্রদের বিভিন্ন মামলার ভয় ভীতি দেখান।
এ বিষয়ে গাড়াগ্রাম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সাত্তার বলেন, পুরাতন কাসুন্দি ঘেটে আর লাভ কি? আমি আপনাকে চা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতেছি। আমি সব তথ্য অফিসকে জানিয়েছি অফিস আমাকে মাফ করে দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ও বিল উত্তোলন প্রসঙ্গে বলেন, স্বাক্ষর জাল করেছিলাম সত্যি কেন করেছিলাম জানিনা, এ বিষয়ে আমি স্বীকারোক্তি মূলক লিখিত জবাব দিয়েছি এসিল্যান্ড ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। এই কাজ তখন আমি কেন করেছিলাম নিজেও জানিনা।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুঠোফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে নীলফামারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: হাফিজুর রহমান জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।