মেরুদণ্ডের হাড় ক্ষয়ের কারণে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেছেন জাতীয় দলের দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। একই সঙ্গে ইনজুরির কারণে তাকে ছাড়তে হয়েছে অধিনায়কত্ব।
ভুল চিকিৎসায় নিজের ইনজুরি হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ওয়ানডে দলপতি তামিম ইকবাল। বাঁহাতি এই ওপেনারের দাবি ইনজুরির কথা বোর্ডের মেডিকেল ডিপার্টমেন্টকে জানানোর পরও তারা তাতে ভ্রুক্ষেপ করেনি। বিসিবির চিকিৎসকদের গাফিলতি ও ফিজিওর ভুল পরামর্শকেই মেরুদণ্ডের হাড় ক্ষয়ের প্রধান কারণ হিসেবে দাবি করেছিলেন তামিম।
তামিমের এই দাবির পর বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সেই রিপোর্ট আসে বোর্ড সভাপতির হাতে। আর সেই রিপোর্টে বোর্ডের মেডিকেল ইউনিট ও ফিজিওর কোনো দোষ খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি।
তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বোর্ডের সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী ইনজুরি ফিরে আসার পেছনে দায়ী করা হয়েছে তামিম ইকবালকে। পুনর্বাসনের নিয়মকানুন সঠিকভাবে মেনে চলেননি বলেই ফিরে এসেছে তামিমের ইনজুরি, এমনটাই বলা হয় তদন্ত প্রতিবেদনে। চোট পুনর্বাসনের ব্যায়ামও তামিম ঠিকভাবে করেননি বলে অভিযোগ আনা হয় বাঁহাতি এই ব্যাটারের বিরুদ্ধে।
বুধবার নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের একজন পরিচালক আরটিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২২ সালের অক্টোবরে তামিম ইকবাল প্রথম বোর্ডের মেডিকেল ইউনিটের কাছে জানান নিজের ইনজুরির বিষয়ে। বিসিবির সেই পরিচালকের দেওয়া তথ্যমতে, এমআরআই করানোর পর সেই রিপোর্ট দেখে বোর্ডের মেডিকেল ইউনিট তাকে কিছু ব্যায়ামের দিকনির্দেশনা দেন। সেগুলো ঠিকমতো মানা হয়নি বলেই ইনজুরি গুরুতর অবস্থায় গিয়েছে তামিমের, এমনটাই জানানো হয় রিপোর্টে।
পিঠের এই ব্যথায় তামিম ভুগছেন লম্বা সময় ধরেই। সম্প্রতি লন্ডনে গিয়ে ইনজেকশন নিয়ে এসেছেন তামিম। এল ৪ ও এল ৫ গ্রেডের এই ইনজুরির কাটিয়ে উঠতে পুনর্বাসনও শুরু করেছেন তামিম। আশা করা যাচ্ছে, আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজের মধ্য দিয়ে অবসর কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরবেন তিনি।
এফআর/অননিউজ