চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমে যাওয়া, রুপি দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে পাকিস্তান অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যে পড়েছে।
অর্থনৈতিক দূরাবস্থায় চলতি বছরের ৮ অক্টোবরে দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাজধানী ইসলামাবাদে দেশটির কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেবের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘চলতি বছর নির্বাচন হবে কিনা-তা পুরোপুরি অনিশ্চিত, কারণ নির্বাচনের আয়োজন করার মতো তহবিল এই মুহূর্তে সরকারের হাতে নেই। তহবিল হাতে না আসা পর্যন্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা সম্ভব হবে না।’
যদিও বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খান প্রায় প্রতিদিনই নির্বাচনের দিন এগিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু তার সেই দাবিতে কার্যত পানি ঢেলে দিয়েছেন খাজা আসিফ।
ইমরান খানের সমালোচনা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে পাকিস্তানের একটি বড় সমস্যার নাম ইমরান খান। তাকে গুপ্তহত্যার চেষ্টা চলছে বলে যে অভিযোগ তিনি করেছিলেন-তা ছিল মিথ্যা। ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি সাবেক সেনাপ্রধান কামার আহমেদ বাজওয়ার মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন, (ক্ষমতা হারানোর পর) এখন তাকেই দোষারোপ করছেন। এমনকি তিনি এ ও বলেছেন-তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল।’
‘পিটিআই সরকারের তিন বছরের শাসনামলের গোটা সময় আমাকে জেলে কাটাতে হয়েছে। আমাদের নেতৃত্বকেও (নওয়াজ শরিফ-শেহবাজ শরিফ) মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন তিনি।’
খাজা আসিফের এই বক্তাব্যের কিছুক্ষণের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওবার্তা পোস্ট করেন ইমরান খান। সেখানে সরকারের নির্বাচন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সূত্র : এনডিটিভি
ফরহাদ/অননিউজ