গত কিছুদিন ধরেই দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ। কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ তীব্র থেকে অতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় সারা দেশের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে ভ্যাপসা গরমও। একই সঙ্গে দেশের দুই বিভাগে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকার আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকতে পারে। আজ সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
এর আগে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। এটিই চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। একই সঙ্গে রাজশাহী এবং পাবনার ঈশ্বরদীতেও দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। শুক্রবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সূত্র : আরটিভি অনলাইন
এফআর/অননিউজ