"কায়কোবাদের শাসন ব্যবস্থা,হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা"। কায়কোবাদ যখন ক্ষমতায় ছিল, হিন্দু সম্প্রদায় ভাল ছিল। এমন স্লোগান সম্বলিত প্লে কার্ড,ব্যানার,ফেস্টুন হাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের পাচঁ বারের সাবেক এমপি, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের প্রহসনের রায় বাতিল করে দেশে আসার পরিবেশ তৈরী করার দাবিতে কুমিল্লার মুরাদনগরে মানববন্ধন করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনটি পরিনত হয়েছে ২ কিলোমিটার লম্বা মনবপ্রাচীরে। অবিলম্বে তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেয় মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা।
মুরাদনগর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, গোমতা থেকে হায়দরাবাদ, হিন্দু সম্প্রদায়ের কায়কোবাদ। মুরাদনগরের প্রতিটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী পরিবারের সুখে দুঃখে পাশে থাকেন কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। তিনি এমপি থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন উৎসবে এবং নানান দূর্যোগের সময় আমাদের নিজ হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। অথচ আজ ১৬ বছর মিথ্যা মামলা দিয়ে কায়কোবাদ দাদাকে দেশের বাহিরে রাখা হয়েছে। আমরা আমাদের দাদাকে স্বসম্মানে দেশে ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানাই।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের মুরাদনগর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দীন দয়াল পাল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পুরো মুরাদনগরের সর্বস্তরের হিন্দুদের আক্ষেপ, কায়কোবাদ দাদা আমাদের জন্য এত কিছু করল অথচ ওনার জন্য আমরা কিছুই করতে পারলাম না। তাই আজ সকল হিন্দুদের অংশগ্রহনে মানববন্ধন করছি। মুরাদনগরের প্রতিটি গ্রাম থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আজকের মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেছে।
শনিবার সকালে উপজেলা সদরের আল্লাহু চত্বর থেকে কোম্পানীগঞ্জ রোড, থানা রোড, রামচন্দ্রপুর রোড ও হোমনা রোডসহ প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে এ মানববন্ধন করা হয়।
তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দ্বিতীয় বার ষড়যন্ত্র করে তারেক রহমান ও কায়কোবাদ দাদাকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলায় কায়কোবাদ দাদার বিরুদ্ধে কোন প্রামান বা কোন স্বাক্ষী পাওয়া যায়নি! এরপরও আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রহসনের রায়ে তারেক রহমান ও কায়কোবাদ দাদাকে কারাদন্ড দিয়েছে। আমরা সাজানো মামলার ফরমায়েশী রায় প্রত্যাহার চাই।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দুলাল দেবনাথ, অরুপ নারায়ন পৌদ্দার পিংকু, অঞ্জন রায়, দ্বীন দয়াল পাল, অধ্যাপক নিতানন্দ রায়, দয়ানন্দ ঠাকুর, রতন দাস, প্রঞ্জিত কুমার মজুমদার, শংকর রায়, গৌরাঙ্গ বে নাথ প্রমুখ।