আসন্ন তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নিজেই প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীতা ঘোষণায় আনন্দে উৎফুল্ল তার কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ ভোটারগণ।
স্থানীয়রা বলছেন, উন্নয়ন বঞ্চিত এই তাহিরপুরে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অমল কান্তি কর এর মতো একজন দক্ষ তরুণ প্রজন্মের প্রার্থী প্রয়োজন। তিনি বিজয়ী হলে এই উপজেলার কাঙ্খিত উন্নয়ন তার দ্বারাই কেবল সম্ভব হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা৷
অমল কান্তি কর জন্মগত ভাবে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। বলা যায় তিনি একজন পরীক্ষিত নেতা। জেলা ও উপজেলা জুড়ে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি তার রয়েছে বিশাল কর্মী ও সমর্থক। চার দলীয় বিএনপি জোট সরকারের আমলে তার বাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও দোকান পাট লুট করা হয়। তার কিছুদিন পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তখন তিনি ১ মাস ২ দিন কারাগারে ছিলেন।
তার পিতা মৃত বাদল চন্দ্র কর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ট্যাকেরঘাট সাব সেক্টরে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে সেবা প্রধান করেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। অমল কান্তি করের পিতামহ (দাদা) জ্ঞানেন্দ্র নাথ কর, তারিনী মোহন কর, শৈলেন্দ্র মোহন কর ১৯৭১ সালের ২১শে আগষ্ট পাক হানাদার বাহিনী দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি স্মৃতি ফলক স্থাপিত হয়েছে এবং জ্ঞানেন্দ্র নাথ করের নাম ঢাকা কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধা জাদুঘরে নাম রয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অমল কান্তি কর বলেন, ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখে সবসময় মানুষের পাশে থেকেই রাজনীতি করছি। দীর্ঘ রাজনীতির ইতিহাসে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা, মহামারী করোনা ভাইরাসসহ সকল দুর্যোগে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার বিশাল কর্মী, সমর্থক ও উপজেলার সম্মানিত ভোটারদের সমর্থনে আমি তাদের সেবা করার লক্ষ্যে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবো। আমি শতভাগ আশাবাদী বিজয় আমার হবে।
তিনি বলেন, আমি বিজয়ী হলে এই কথা দিতে পারি তাহিরপুর উপজেলাকে একটি দৃষ্টি নন্দিত নান্দনিক, স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো। পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবায় ব্যপক পরিবর্তন নিয়ে আসবো। যাতে করে এই উপজেলার কোনো মানুষের যেন যাতায়াতের ভোগান্তি পোহাতে না হয় সেজন্য সড়কপথে আমুল পরিবর্তন আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে হবে ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে ১১ মে। এদিন দেশের ১৬৫ টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এফআর/অননিউজ